মৌসুমী ফল আম, চতুর্ধিকে ধরেছে প্রচুর আম ও লিচুর মুকুল। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলাকে দেশের সুস্বাদু আম লিচুর এলাকা বলা হয়ে থাকে। বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহেই দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে সোনারগাঁওয়ের আম লিচু আগাম বাজারে আসে। সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় বাগান গুলোর দেশের মানুষের চাহিদা থাকে। আমাদের দেশে আগাম আম লিচু বলতে গেলে প্রথম সোনারগাঁয়ের নাম উঠে আসে। সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পেীরসভার মাঝে কয়েকটি ইউনিয়নে আম লিচুর জন্য উওম। যেমন মোগরাপাড়া সোনারগাঁও পেীরসভা ও বৈদ্যার বাজার ইউনিয়ন উল্লেখ যোগ্য এই ৩টি ইউনিয়ন সোনারগাঁওয়ে আম লিচুর জন্য বিখ্যাত। অন্যান্য ইউনিয়ন গুলিতে কিছু কিছু আম লিচু হয়ে থাকে। যুগ যুগ ধরে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে ঈশাঁখার রাজধানী সোনারগাঁও। আর এই নামটির সুনাম ধরে রেখেছে সোনারগাঁওয়ের বিখ্যাত আম লিচুর মাধ্যমে। যদি সোনারগাঁওয়ের আম লিচু না থাকত তাহলে সোনারগাঁওয়ের নাম কিছুটা অম্লান হয়ে যেত। যে সব এলাকা গুলোতে সাধারণত আম লিচুর বাগান গুলো হয়ে থাকে, যেমন মোগড়াপাড়া, চিলারবাগ, দিঘিরপাড়, তাঁজপুর, বৈদ্যারবাজার, পানাম, যাদুঘর, হাতকোফা, টিপরদি, গাফতলী, হাড়িয়া ভট্টপুর গোহাট্টা, সাদিপুর মিরাবাড়ী, ষোলোপাড়া, কামার গাঁও, সাচিলাপুর, রহমতপুর, পাঁচপির দরগা, মাধবপুর, বাড়ীমজলিস, আরো বিভিন্ন গ্রাম গুলোতে সোনারগাঁওয়ের আম লিচুর বাগান হয়ে থাকে। সুস্বাদু রসালো আম লিচু যখন গাছে গাছে পাকা ধরে তখন যে কেউ দেখলে মুখে জল চলে আসবে। সোনারগাঁওয়ে ঘুরেেত আসা অতিথি ও ব্যবসায়ীরা জানান, এবার অনেক গাছে আগাম মুকুল ধরেছে এবং ঘন কুয়াশা যদি না থাকে তাহলে আম ও লিচুর ফলন ভাল হবে এবং ব্যাপারীরাও লাভবান হবেন। তারা বলেন এই শীতের মাঝখানে যদি হালকা কিছু বৃষ্টি হয় তাহলে আম লিচু আরো রসালো হবে। চৈত্রের খরাতে বৃষ্টির অভাবে আম লিচু তেমন মোটা তাজা হয়না। সোনারগাঁওয়ে আম লিচুর বাগান গুলিতে যেমন প্রশাসনের দৃষ্টি রয়েছে, তেমনি মিডিয়া ও সাধারন মানুষের দৃষ্টি রয়েছে। যাতে কোন ফরমালি মিশাতে না পারে, সব সময় সোনারগাঁওয়ের আম ও লিচু ফরমালিন মুক্ত থাকে এবার ও ফরমালিন মুক্ত থাকবে আশা করি।