ঢাকার ধামরাই উপজেলার সাঈদপাড়া এলাকার একটি রাস্তা বন্ধ করে রাস্তার মাটি কেটে নিয়েছে পঞ্চায়াতের এক মাতাব্বার। এতে ওই মাতাব্বরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে এক ভুক্তভোগি। আদালতে মামলা করার অপরাধে পঁঞ্চায়াত মাতাব্বরা ওই পরিবাকে গত দশদিন ধরে একঘরা করে রেখেছে। ফলে ওই পরিবার মানবতার জীবন যাপন করছে। এঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ ঘটতে পারে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের সাঈদপাড়া গ্রামে মাঝিপাড়া লক্ষণ রাজবংশী বাড়ি হইতে হরেশ রাজবংশী বাড়ি পর্যন্ত সরকারি টাকায়একটি নতুন রাস্তা তৈরি করে দেন স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহা আলম। উক্ত রাস্তায় স্থানীয় মেম্বার মোয়াজ্জেমকে সভাপতি না করে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার হামেদা বেগমকে সভাপতি করে রাস্তার কাজ শেষ করে। পরে ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম লক্ষণ রাজবংশীকে দিয়ে রাস্তার ওপর একটি টিনের ঘর দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এমনকি রাস্তার মাটি সব কেটে লক্ষণ তার বাড়ি ভরাট করে। রাস্তার মাটি নিতে হরেশ রাজবংশী বাঁধা দিলে তাকে ও তার স্ত্রী সন্তানদের মোয়াজ্জেম মেম্বারের নেতিৃত্বে লক্ষণ গংরা বেদম মারপিট করে। এঘটনায় হরেশ রাজবংশী লক্ষণ রাজবংশী গংদের নামে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা করায় মাঝিপাড়া পঞ্চায়াত হরেশ রাজবংশী ও তার পরিবারকে গত দশদিন ধরে একঘরা করে রেখেছে। বর্তমানে ওই পরিবারটি বাড়ি থেকে বের হইতে পারছে না। এমনকি শিশু বাচঁচাকে টিকা দিতে যেতে দিচ্ছে না মাতাব্বরা। একটি পরিবারের ওপর এমন অসামাজিক কর্মকান্ড হওয়ার পর জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে অভিযোগ রয়েছে। এঘটনায় হরেশ রাজবংশী জানান, রাস্তা বন্ধ ও রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে বাড়ি ভরাট করেছে লক্ষণ। এতে তিনি বাঁধা দেওয়ায় তাকে তার পরিবারকে অনেক মেরেছে। তিনি আদালতে মামলা করায় গত দশদিন ধরে একঘরা করেছে পঞ্চায়াত মাতাব্বরা। তিনি আরো জানান, তাকে বাজারেও যায়তে দিতেছে না। এমনকি তার ছেলের ঘরে দুইটি শিশু রয়েছে তাদের টিকা দিতেও বাঁধা দিচ্ছে তারা। লক্ষণ রাজবংশী বলেন, রাস্তার তার জমির ওপর দিয়ে যাওয়াতে রাস্তা বন্ধ করে মাটি কেটে নিয়েছে। তাছাড়া যা কিছু করেছে সব মেম্বার মোয়াজ্জেম জানেন। এব্যাপারে পঞ্চায়াত মাতাব্বর অণিল রাজবংশী জানান, পাঁচজনের কথা শুনে না দেখে হরেশকে একঘরা করা হয়েছে। ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, হরেশ পরিবারকে একঘরা করা খুবই অন্যায় হয়েছে। রাস্তাটিও লক্ষণ বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক বলেন, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।