বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের কাজীরহাট থানাধীন ভাষানচর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের উত্তর খলিশাপাড় গ্রামে ইউনুস খানেঁর ছেলে জাফর খানঁ (২৫) কে মঙ্গলবার রাতে বসত ঘর হতে বের করে মারধর করে নিয়ে যায় জাফরের চাচাতো ভাই আবুল খানেঁর ছেলে মাইদুল খানঁ সহ কয়েকজন ।
৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন ফকিরের নেতৃত্বে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতর মা পিঞ্জিরা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানায়, শাহাবুদ্দি আহম্মেদ ফকির আমার ছেলেকে মেরেছে রাতে আমার ছেলেকে মাইদুল সহ কয়েকজন মিলে আমার সামনে মারপিট করে নিয়ে যায় আমি ও আমার মেয়ে জোসনা খোঁজাখুজি করি পাইনি। সকাল বেলা আমার স্বামী ইউনস খানঁ কে কয়েকজন মিলে ধরে নিয়ে যায় এখন ও পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নী।
এদিকে ছেলে কে খোঁজাখুজি করতে করতে নয়াভাঙ্গুলী খালের পাড় গিয়ে দেখি রেন্টি গাছের ডালের সাথে লাইলোনের রশি দিয়ে গলাঁয় ফাঁস লাগানো অবস্থায় । সংবাদ পেয়ে কাজীরহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিসুল ইসলাম তদন্ত ওসি পি পি এম আঃ খালেক এস আই নাসির এস আই সুশান্ত সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ রেন্টি গাছ থেকে নামিয়ে সুরহাতল রিপোর্ট করে। নিহতের পড়নে লুঙ্গি ও ফুল হাতা শার্ট ও সাথে মোবাইল ছিল। নিহতের হাতে পেটে ও পায়ে আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে । এমন ঘটনা জানতে পেয়ে দুপুর ১ ঘটিকায় বরিশাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাকিবুল ইসলাম ও মেহেন্দিগঞ্জ-কাজীরহাট সার্কেল এ এস পি শুকুমার রায় ঘটনা স্থলে ছুটে যায়।
নিহতের মামাতো বোন সাংরক্ষিত ইউপি সদস্যা মোসাঃ লাইজু বেগম জানায়, আমার ফুফাতো ভাই মীরগঞ্জ-বাবুগঞ্জ ড্রেজারে কাজ করে ৪ দিন পূর্বে বাড়ী এসেছে হত্যার বিষয় জানায়, রাতে বসত ঘর হতে তুলে নিয়ে যায় তার চাচাতো ভাই ও দলবরেরা সকালে আমার ভাইয়ের লাশ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে তবে হত্যা করে গাছের ডালের সাথে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে খুনিরা।
আমরা খুনিদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী জানাচ্ছি। কাজীরহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিসুল ইসলামের সাথে আলাপ করলে তিনি জানায় নিহতের মা ও বোন কিছু লোকদের নাম প্রকাশ করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। নিহতের লাশ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
ই-খ/খবরপত্র