জেলার কৃষকের মাঝে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে স্কোয়াশ চাষ।। এটি একটি জনপ্রিয় সবজি। সবুজ ও হলুদ দুই ধরনের রঙের হয়ে থাকে। স্কোয়াশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ আছে। এর পাতা ও কান্ড সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। কুমিল্লায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে স্কোয়াশ চাষ। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এটি শীতকালীন সবজি। স্কোয়াশ চাষের জন্য বেলে দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। ভালো ফলন পেতে হলে জমি গভীরভাবে চাষ করতে হবে। শীতকালীন চাষাবাদের জন্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বীজ বপন করা হয়। তবে আগাম শীতকালীন ফসলের জন্য আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরে জমিতে সরাসরি বীজ রোপণ করা হয়। বীজ রোপণের অল্পদিনের মধ্যেই গাছ বেড়ে ওঠে। ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। পরাগায়নের ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়। বীজ লাগানো থেকে ফল তুলতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস। কুমিল্লার দাউদকান্দি, তিতাস, মেঘনা, হোমনা উপজেলায় এ সবজির চাষ চোখে পড়ে।
মাঠে গিয়ে দেখা যায়, স্কোয়াশের লতা কুমড়ার লতার মতো। লতার নিচে বড় বড় স্কোয়াশ। কোনোটির ওজন দুই কেজির মতো। দাউদকান্দির টামটা গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বাসসকে বলেন, তিনি দুই-তিন বছর ধরে এ সবজির চাষ করছেন। ভালো ফলন পাচ্ছেন। নিজে খাচ্ছেন কিছু বাজারে বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান বাসসকে বলেন, হেক্টরপ্রতি স্কোয়াশের গড় ফলন ৪৫-৫০ টন। একটি গাছে গড়ে ১২-১৬ কেজি ফল হয়। প্রতি বিঘা জমিতে স্কোয়াশ উৎপাদনের জন্য খরচ হয় ৯-১০ হাজার টাকা। মুনাফা হয় ৬০-৭০ হাজার টাকা। স্থানীয় বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুপারশপে এর চাহিদা ব্যাপক। এ ছাড়া রেস্তোরায়ও স্কোয়াশের চাহিদা রয়েছে। জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লার মাটিতে স্কোয়াশের ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সবজি চাষে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন।