জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কোজগড় গ্রামের হতদরিদ্র শাহাদাৎ হোসেন কারীর বড় মেয়ে সরকারী জাহেদা সফির মহিলা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংষ্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাফিয়া খাতুন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দেড় বছর যাবৎ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু শয্যায় রয়েছে মেধাবী এই শিক্ষার্থী। কৃষক শাহাদাৎ হোসেনের পাঁচ সন্তান। বড় মেয়ে শাফিয়া খাতুন সরকারী জাহেদা সফির মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী। মেজো মেয়েও একই কলেজে বিএ (অনার্স) এ অধ্যায়নরত। বড় ছেলে এইচএসসিতে পড়ে। ছোট ছেলের বয়স ৫ বছর। সংসারের অভাব অনটনের কারনে বড় মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছে না শাহাদাৎ হোসেন। বর্তমানে তার চিকিৎসার খরচ যোগাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থী শাফিয়ার পিতা। অর্ধাহারে-অনাহারে চলা পরিবারটি মেয়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিকট থেকে সহযোগিতাও নিয়ে এসেছেন বারবার। এখন নিরুপায় অসহায় এই বাবা! সন্তানের এই অবস্থা দেখে আর সহ্য করতে পারছেন না। প্রয়োজন সহযোগিতা! ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অসহায় এই পিতার চিকিৎসার করানোর সাধ্য নেই। তাই তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। অসহায় পরিবারটি চায় তাদের সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে, শুধু প্রয়োজন মানবিক সহযোগিতা। এ সহযোগিতা পেলেই ঢাকার ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা হবে এই মেধাবী শিক্ষার্থীর, ফিরে পাবে নতুন জীবন। শাফিয়ার বাবার বিকাশ অথবা প্রয়োজনে ০১৭২৯৯২০৬৬১ যোগাযোগ করতে পারেন।