সবার দৃষ্টি আকাশে। এই বুঝি দৃষ্টিগোচর হবে সুদূর কানাডার প্রখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড বোম্বার্ডিয়ার অ্যারোস্পেস থেকে যোজন যোজন মাইল পথ পাড়ি দিয়ে উড়ে আসা বহুল প্রতীক্ষিত ‘শ্বেতবলাকা’ নামের নতুন ড্যাশ৮-৪০০ উড়োজাহাজ। কয়েক মিনিট নীরবতা আর অপেক্ষায় কেটে যায়।
হঠাৎ উপস্থিত কেউ একজন উঁচু গলায় চিৎকার করে ডেকে বলে উঠলেন- ‘ওই তো দেখা যাচ্ছে শ্বেতবলাকা।’ এবার উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নড়েচড়ে বসলেন। বলতে না বলতেই দ্রুতগতিতে ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করে শ্বেতবলাকা। অবতরণের পর উড়োজাহাজটিকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুট দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
গতকাল শুক্রবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমনই এক দৃশ্যপটের অবতারণা হয়। এর মধ্য দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হলো আরেকটি নতুন ড্যাশ৮-৪০০ উড়োজাহাজ।
কানাডার উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড-এর তৈরি করা ড্যাশ৮ মডেলের উড়োজাহাজটি শুক্রবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জি টু জি ভিত্তিতে কেনা তিনটি ড্যাশ৮ প্লেনের প্রথমটি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ও দ্বিতীয়টি চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিমান বহরে যুক্ত হয়।
এই উড়োজাহাজের নামকরণ করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার সমন্নয়ে তৈরি উড়োজাহাজটিতে আসন রয়েছে ৭৪টি। উড়োজাহাজটি বিমান বহরে যুক্ত হওয়ার ফলে বিমান তার অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের রুটে ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি করবে। ফলে এই রুটেগুলোতে বিমান তার যাত্রীদের আরও উন্নত সেবা দিতে সক্ষম হবে।
বর্তমানে বিমানবহরে বিদ্যমান মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ২০টি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দু’টি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এবং চারটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ। তৃতীয় ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটি বিমান বহরে যুক্ত হবার ফলে উড়োজাহাজের সংখ্যা হবে ২১টি।