রংপুরের গঙ্গাচড়ায় প্রকৃতি রাঙিয়ে ফুটেছে রক্ত লাল শিমুল ফুল। বসন্ত বাতাসে ঠিকরে পড়া রোদ, গাছে গাছে নতুন পাতা, সজীব হয়ে উঠা ধানের চারা, আম, লিচু মুকুলের মন মাতানো গন্ধ, উদাম দুপুর আর সজনে ফুলের শুভ্রতার সাথে রক্ত লাল এই শিমুল ফুল। ফুল তার রুপের দ্যুতি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তার ধারে স্কুল-কলেজ মাঠে, বাড়ির পাশে খোলা জায়গায়, শিমুলের গাছে রক্ত লাল ফুলের রুপের বনচ্ছটা পথিকের চোখকে বার বার আটকে দিচ্ছে। সবুজ বেষ্ঠিত প্রকৃতিতে প্রস্ফুটিত গাঢ় লাল আভার শিমুল ফুল রাঙিয়ে দেয় সবার হৃদয়। শিমুল ফুল এই ফাগুনেমনের আগুন হয়ে ঝড়ে পড়লেও সদিচ্ছার অভাবে এখন আর তেমন করে এই গাছ এবং ফুলের সৌন্দর্য্য চোখে পড়ে না। এ ব্যাপারে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ আমজাদ হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার বুক থেকে এই সুন্দর উপকারী গাছগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। বসন্তে শিমুল গাছে খেঁটাফুল কিছুদিন পরে রক্ত লাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলা তৈরি হয়। গ্রাম বাংলায় এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিতো। গ্রামের মানুষ শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। কার্পাস তুলার পর শিমুল তুলা দিয়ে লোপ, তোষক, বালিশ বানানো হতো। শিমুল গাছ এমনিতেই জম্মায়। একটু পরিচর্যা করলে প্রাণবস্তভাবে এই গাছটি বেড়ে উঠে। পরিবেশের বিপর্যয় রোধে এবং প্রাকৃতির সৌন্দর্য বাঁচিয়ে রাখতে শিমুল গাছের চারা রোপন জরুরি। সেই সাথে শিমুল গাছের চারা রোপনের জন্য গুরুত্বরোধ করে প্রচারণা জরুরি।