শস্যভান্ডার খ্যাত দিনাজপুরের বিরামপুর ধানের সাথে সাথে এখন ভুট্টা চাষেও কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক ফলন হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ভুট্টার সবুজ ক্ষেতে ঢেকে গেছে। আবওহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বড় রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী এই এলাকার ভুট্টা চাষিরা। বিরামপুর উপজেলার মকন্দপুর, খাঁনপুর, কাটলা, দিওড়, পলিপ্রাগপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ডে ভুট্টা চাষ ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। ভুট্টাচাষি রায়হান কবীর চপল বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক ফলন হওয়ায় ভুট্টা চাষ করা লাভজনক এবং বর্তমানে বাজারে ভুট্টার চাহিদাও ব্যাপক। একারণে তিনি এই মৌসুমে ৩ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। মকন্দপুরের ভুট্টা চাষি ডাব্লু বলেন, যেভাবে ভুট্টার ব্যবহার বাড়ছে সে অনুযায়ী এ অঞ্চলে ভুট্টাভিত্তিক কোনো কলকারখানা গড়ে উঠেনি। তাই এ অঞ্চলে ভুট্টার আটা ও পশুখাদ্য তৈরির মিল স্থাপন করা হলে ভুট্টা চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং চাষিরা তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, উপজেলার মকন্দপুর, খাঁনপুর, কাটলা, দিওড়, পলিপ্রাগপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ডে ভুট্টা চাষ ব্যাপকভাবে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, গত বছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হলেও এবারে ১৫৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। এবারে লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন । যা অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভুট্টা চাষিদের সময় মতো সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এই এলাকায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি জানান।