বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বৃদ্ধ বিবেকানন্দ মজুমদারের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় বিবেকানন্দের পরিবার প্রতি পক্ষের হুমকির মুখে চরম হতাশায় ভুগছেন। আহত বৃদ্ধের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দের প্রতিবেশী শুসান্ত মজুম দারের সাথে জায়গা- জমি ও অর্থলেন দেনের বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বৃদ্ধ বিবেকানন্দ মজুমদার পাশের বাড়িতে একটি সামাজিক ডাকে যান। এসময় আলোচনা চলাকালে সুশান্ত মজুমদার বিবেকানন্দকে জোর করে বাড়ির বাইরের রাস্তার পাশের একটি বাগানে নিয়ে আসে। এসময় সুশান্তের সহযোগি নির্মল মন্ডল,শঙ্কর মজুমদার,পার্থ মজুমদার,রাসমোহন মালাকার সহ ১০/১২ জনের একটি দল তাকে হাতুড়ি দিয়ে বেদম মারপিট করে। বৃদ্ধের ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে, পরবর্ত্তীতে তাকে চিতলমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এহামলার ব্যপারে আহত বৃদ্ধ বিবেকানন্দের ছেলে কানাই লাল মজুমদার হতাশা ব্যাক্ত করে জানান,সুশান্ত এলাকায় অর্থ এবং ক্ষতার দাপটে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার অন্যায়- অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলায় অনেককেই সে পিটিয়ে আহত করেছে। ইতিপুর্বে তার হুমকির মুখে অনেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পায়নি। কানাই মজুমদার আরো জানান, তার কাছে আমাদের বিক্রিত জমির টাকা পাওনা আছে। এ টাকা চাওয়ার কারনে আমার বাবাকে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। এছাড়া আমাকে বিভিন্ন সময় জীবন নাশের হুমকি আব্যহত রেখেছে। এব্যপারে প্রত্যক্ষদর্শী সন্তোষপুর গ্রামের বাসিন্দা রতন রানা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বৃদ্ধ বিবেকানন্দের উপর হামলার ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। এব্যাপারে সুশান্ত মজুম দারের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার বিষয় অস্বীকার করেন।