মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বরিশালে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের অপার সম্ভাবনা কমলগঞ্জে বিনা ধান-২৫ এর পরীক্ষামূলক চাষাবাদে বাম্পার ফলন শ্রীমঙ্গলে কম্বাইন্ড হারভেস্টারে ধান কর্তন উৎসব উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী ইন্দেরহাটে দুই অংশীদারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে প্রকাশিত সংবাদ ভাইরাল হওয়ায় জামালপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সুবিনয় তপু ও নোমানকে সংবর্ধনা বক্তারমুন্সী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সভাপতি-বাদল চেয়ারম্যান, সম্পাদক : মীর এমরান নূরজাহান বেগমকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন চকরিয়ার ফাসিয়াখালী রেঞ্জের রিজার্ভ বনভূমিতে ঘর তৈরীর হিড়িক জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপন টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতার সমাধি সৌধে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের মান্যবর রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা নিবেদন

জলঢাকায় সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে শোভা পাচ্ছে হলুদ রঙের সূর্যমূখী

রিয়াদুল ইসলাম (জলঢাকা) নীলফামারী :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১

এ যেন এক ফুলের রাজ্য,এখানে এলে যেন যে কারো মন জুড়িয়ে যায়।এ বছর নীলফামারী জলঢাকা পৌরসভার পূর্ব চেরেঙ্গা গ্রামের ৩৩ শতক জমিতে জে বি এস সীড সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছেন মোঃ নফর উদ্দিন।নফর উদ্দিন এর কাছে জানা যায়, সরকারীভাবে সূর্যমুখী ফুলের বীজ, সার ও ওষুধ পেয়েছেন। ফলন ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছি। ফলনের ন্যায্য মূল্য পেলে আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হবে এবং আমাদের মতো আরো কৃষক সূর্যমুখি চাষে আগ্রহ হবেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতে স্থানীয় ৩৭০ জন কৃষকে সহযোগীতা দেয়া হয়েছে।চাষিরা গত ২১ ডিসেম্বর বিজ রোপন করেন। এরপর তিনমাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফুল ফুটার পর বাগান গুলো অপরূপ সুন্দর্য ধারন করেছে।অপূর্ব সুন্দর ও মনমুগ্ধ কর এই দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন প্রকৃতি প্রেমিরা ছুটে আসেন এবং বাগানের সুন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমান।এ এছাড়া উল্লেখ্য যে এ সূর্যমুখী বাগানটি মেইন সড়কের পাশে হওয়ায় সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড় ও লক্ষ করা গেছে। সূর্যমুখী ফুলের তেল স্বাস্থ্য সম্মত ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোগের ব্যাপক উপকারিতার কথা জানিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহ মোঃ মাহফুজুল হক বলেন,উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করার লক্ষে ৩৭০ জন কৃষকে বিজ, সার ও প্রয়োজনীয় কিটনাশক দেওয়া হয়েছে।ফলন ও বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। এই প্রকল্পটি সফল হলে আগামী বছর আরো ব্যাপক আকারে সূর্যমুখী ফুলের চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে এবং কৃষকরা যেন ন্যায্য মূল্য পায় সে দিকটি নিশ্চিত করা হবে।তিনি আরো বলেন,একটি পরিণত সূর্যমুখী ফুলের গাছ ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে কৃষকেরা বীজ গড়ে তুলতে পারবে।ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৬ থেকে ৭ মন সূর্য মুখী ফুলের বীজ পাওয়া যাবে।১ মন বীজ থেকে প্রায় ১৫-১৮ কেজি তেল পাওয়া যাবে।আপনারা যেনে থাকবেন আমাদের ভোজ্য তেল প্রতি বছর বেশির ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, দেশে যদি এই সূর্যমুখী প্রকল্প সফলতা পায় তা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এই তেল আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারবো বলে আশা করছি ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com