জামালপুরে ঘুষ দূনীর্তির মামলায় অধ্যক্ষের দুই বছরের সাজা হওয়ায় সদর উপজেলার ঝাওলা গোপালপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজজল হোসেনকে বরখাস্তের দাবিতে সড়ক অবরোধ, মিছিল ও মানবববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে এইসব কর্মসূচি পালিত হয়।নানা দুর্নীতি ও সাজাপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বরখাস্তের দাবিতে গোপালপুর বাজারে মানববন্ধন করেন। পরে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। এসময় আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে। সমাবেশে ঘোড়াধাপ ও বাঁশচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা অংশ গ্রহণ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য একেএম আজাদ, বাঁশচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের, সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.শাজাহান, বাঁশচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খাইরুল বাশার, ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো.আসাদ আকন্দ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ওই অধ্যক্ষ একজন দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতির কারণে দীর্ঘ সময় কলেজে ঢোকতে পারেননি। পরে স্থানীয় কিছু অসৎ ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ফের কলেজে আসেন। আসার পর থেকেই তিনি নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। দুজন শিক্ষককে পদোন্নতি দেওয়ার নামে ঘুষ নিয়ে নেন। ঘুষ নেওয়ার মামলায় তাঁর দুই বছরের জেল হয়েছে। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। একজন ঘুষখুর অধ্যক্ষকে এই কলেজে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন দেখতে চাই না। তাঁকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বরখাস্ত করতে হবে। অন্যথায় সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। বক্তারা আরো বলেন, কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছ থেকে নানাভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিল। বিভিন্ন কলেজে ফরম ফিলাপে টাকা নেয় ৩ হাজার। ওই অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের টাকা নির্ধারণ করেছেন ৯ হাজার টাকা। এই কলেজ ফান্ড থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছেন। তিনি দুর্নীতি করে, ময়মনসিংহ শহরে তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বিলাশ বহুল গাড়ি দিয়ে চলাচল করেন। এতো সম্পত্তির মালিক কিভাবে হলেন। এসব টাকা তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করেছেন।প্রসঙ্গঃ ২০০৮ ওই কলেজের শিক্ষক পদন্নতির জন্য অধক্ষ্য মোফাজ্জল হোসেন একই কলেজের উপাধক্ষ্য এবিএম ফরহাদ হোসেনসহ ৩ জন শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষ নেন। টাকা নিয়েও কাজটি করে না দেওয়ায় উপাধক্ষ্য এবিএম ফরহাদ হোসেন ২০০৮ সালে জামালপুর সদর থানায় একটি ঘুষ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এই রায় দেওয়া হয়। রায়ে তাঁর দুই বছরের সশ্রম কারাদ- ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় ওই অধ্যক্ষ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।