বগুড়ার চরাঞ্চলে মরিচ শুকানোর কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। দিন রাত পরিশ্রম করে মরিচ টিনের চালে ও ফাঁকা জায়গায় শুকাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এ বছর বগুড়ার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।এই দুই উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ মরিচের উৎপাদন হয়েছে। এছাড়াও ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ও ভান্ডারবাড়ী এলাকায় ব্যাপক মরিচের চাষ হয়েছে। বাজার দর বেশি হওয়ায় কৃষকরাও অনেক খুশি। গত শুক্রবার সকালে সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ও করমজা এবং গত শনিবার সকালে সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর বোলার, হাটফুলবাড়ী মথুরাপাড়ার হাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁচা ও শুকনো মরিচ আমদানী হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারাও মরিচ কিনতে এসেছেন। ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি মনে বাড়িতে ফিরছেন। সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন সরদার জানান, কৃষকরা চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় এক হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ‘সনিক’, ‘১৭০১’, ‘বিজলী প্লাস’ এবং স্থানীয় জাতের মরিচ চাষ করেছেন। যমুনা ও বাঙালি নদীর চরাঞ্চল ও অন্য এলাকার জমিতে পলি জমায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে ১৪ মণ মরিচ পাওয়া যাচ্ছে। হাট-বাজারে প্রতি মণ মরিচ বিক্রি হচ্ছে, এক হাজার ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়। আবার টোপা (লাল) ও শুকনো মরিচ দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।স্থানীয় কৃষক আব্দুল জলিল জানান, তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন।সারিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরেক কৃষক চড়বাটিয়া গ্রামের আকবর জানান, এবার তিনি ৪ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। চাহিদামতো দাম পেয়ে তিনিও সন্তুষ্ট। শালুকা গ্রামের কৃষক ঠান্ডু মন্ডল জানান, তিনি এ বছর প্রায় ৩ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করেন। তিনি ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি হয়েছেন।