আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাতীয় পর্যায়ে পাঁচ সংগ্রামী নারীকে জয়িতা পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা পদক, এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।
রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে গতকাল সোমবার (৮ মার্চ) আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে জয়িতা সম্মাননা হস্তান্তর করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- বরিশাল বিভাগ থেকে হাছিনা বেগম নীলা। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হলেন রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার মিফতাহুল জান্নাত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসএস অধ্যয়নরত ও একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। সফল জননী হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার হেলেন্নছা বেগম। তিনি তার ছয় ছেলে ও তিন মেয়ের সবাইকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তার বড় ছেলে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি, মেজ ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষারত আছেন একজন। নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করার ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার রবিজান। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলার অঞ্জনা বালা বিশ্বাস। তিনি নারীদের দর্জি ও হাতের কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য ১৯৭৫ সালে মাতৃকেন্দ্র নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’। মহামারিকালে বাংলাদেশের ডাক্তার, নার্স, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সব পর্যায়ের নারীরা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকাকে উৎসাহিত ও স্বীকৃতি স্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়।