নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার উদ্যোগে পৌরসভার বটতলায় মঙ্গলবার এক জনাকীর্ণ সংবাদ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কোম্পানীগঞ্জের নীরিহ ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, লুটপাট, মুজিব শতবর্ষ উদ্যাপনের মঞ্চ ভাংচুর, কাদের মির্জার ব্যক্তিগত অফিসে হামলা ভাংচুর ও আ’লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হত্যা উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের মেয়র মির্জা বলেন, আমি তরুণ সাংবাদিক মুজাক্কিরের হত্যার তদন্ত ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিচার বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার দাবী জানাই। কারণ পিবিআই তদন্তে নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী প্রভাবিত করতেছে। আজকে মুজাক্কির হত্যাকান্ডে জজ মিয়াদেরকে আটকানোর ষড়যন্ত্র চলছে। যদি মুজাক্কির কে হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হয়, আমি জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করব। গত কিছুদিন যাবত আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ করেছি, মেলা করেছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। ঝগড়া বিবাদের ভয়ে আলেয়া টাওয়ারের ৩য় তলায় আমি ব্যক্তিগত অফিস করেছি। সেখানে ঘটনার মূল নায়ক খিজির হায়াত, মিজানুর রহমান বাদল,মাহবুর রশীদ মঞ্জু, ও ফখরুল ইসলাম রাহাতের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী আমার ব্যক্তিগত অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের ছবি ও আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। তিনি বলেন, আমি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি খিজির হায়াত ও নুর নবী চৌধুরীকে জাসদ থেকে এনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদযাপন মঞ্চ, চেয়ার, টেবিল ভাংচুর, লুটপাট চালায়। মেলার জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় তারা ব্যাপক ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটায়, গুলি চালায় ও বৃষ্টির মত ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুছ, বসুরহাট পৌরসভা আ’লীগের সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর গোলাম ছারওয়ার। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আরিফুর রহমান বাদী হয়ে ৯৭ জনকে নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২৫০-৩০০জনকে আসামী করে মঙ্গলবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অপরদিকে আ’লীগ থেকে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বসুরহাট রূপালী চত্বরে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বসুরহাট বাজারে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে সন্ধ্যা ৬টায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।