গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির ‘ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম অ্যান্ড দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ইসরায়েলকে মানব অঙ্গ কেনাবেচার বড় বাজার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে অভিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে অন্তত ৫০ লাখ। মানব অঙ্গের ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা তাদেরই টার্গেট বানায় সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে নেয়া হয়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা অঙ্গদাতার সম্মতিতেও ঘটে। এক্ষেত্রে মূলত হতদরিদ্র অবস্থা থেকে আসা অভিবাসীদের প্রধান লক্ষ্য বানাচ্ছে পাচারকারীরা। এমনই এক ভুক্তভোগী জয়পুরহাটের যুবক বেলাল হুসাইন (৩৫)। ২০১৫ সালে অর্থের প্রলোভনে পড়ে তিনি নিজের যকৃৎ তুলে দেন আন্তর্জাতিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচারকারী চক্রের হাতে। যদিও অনেকটা নিজের অজ্ঞাতসারেই। এক পর্যায়ে এ যুবক জানতে পারেন, তিনি নিজের শরীরের মূল্যবান একটি জিনিস হারিয়ে ফেলেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য বলছে, ২০১৫ সালের দিকে প্রথম সিরিয়ায় মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচারের ব্যবসা শুরু হয়। এরপর প্রতিবেশী দেশ বাহরাইন, লেবানন, তুরস্কের মতো দেশে এ ব্যবসা জমজমাট হয়ে ওঠে। এসব দেশ চিহ্নিত হয় মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবসার ‘হট স্পট’ হিসেবে।
পুলিশ বলছে, মানব অঙ্গ কালোবাজারি সিন্ডিকেট চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও পাচার করছে। গত বছর নভেম্বরে এমনই সিন্ডিকেটের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবি আই)। সে সময় গাইবান্ধায় পিবি আইয়ের পুলিশ সুপার এআরএম আলিফ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার কথা বলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মো. আবদুল ওয়াহাব (২২) নামের এক যুবককে ভারতে পাচার করে আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের সদস্যরা। ওই যুবককে কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পাচার করা হয়। ভারতে পাচারের পর ওয়াহাবকে হত্যার ভয় দেখিয়ে অপারেশনের মাধ্যমে তার শরীর থেকে একটি কিডনি বের করে নেয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত এক আসামিকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি জানা যায়।
পিবি আই সে সময় তদন্তে দেখেছে, বিগত কয়েক বছরে গাইবান্ধা, জয়পুরহাট ও আশপাশ এলাকা থেকে অন্তত ৫০ জনকে পাচার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারকারী চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরিব, অসহায়, অশিক্ষিত লোকদের মোটা অংকের টাকায় কিডনি বিক্রির লোভে ফেলে। ভুক্তভোগী আবদুল ওয়াহাব পিবি আইকে জানান, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কৌশলে ভারতে পাঠিয়ে সেখানে একটি হাসপাতালে কিডনি বের করে নেয় পাচারকারীরা। তার দাবি, চক্রটি তার কিডনি ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
কভিড-পূর্ব বছরগুলোয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপের পথে বিপজ্জনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার বিষয়টিই আন্তর্জাতিক অভিবাসনসংশ্লিষ্টদের ভাবিয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ মুহূর্তে সেটিকে ছাপিয়ে বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে কালোবাজারে মানব অঙ্গ সরবরাহকারী আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট। এ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহে তাদের নিয়োজিত এজেন্টরা বেকার তরুণ-তরুণীদের দিচ্ছে বিনা ব্যয়ে অভিবাসন ও চাকরির প্রলোভন। এরপর তাদের মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন গন্তব্যে নিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। দেহ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে মহামূল্যবান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।
জাতিসংঘও এখন বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি এ নিয়ে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রজোটটি মধ্যপ্রাচ্যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবৈধ কালোবাজারে অভিবাসী কর্মীদের হত্যার বিষয়ে এক সতর্কবার্তাও জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেচাকেনায় কালোবাজারিরা ফুলেফেঁপে উঠছে। বর্তমানে সেখানে একটি কিডনি কিনতে খরচ হচ্ছে ২ লাখ ৬২ হাজার ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। এছাড়া একটি হূিপ- (হার্ট) কিনতে খরচ হয় ১ লাখ ১৯ হাজার ডলার। লিভার (যকৃৎ) কিনতে ব্যয় হয় ১ লাখ ৫৭ হাজার ডলার। অবৈধভাবে সংগৃহীত এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্রেতারও অভাব নেই। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই বড় হয়ে উঠছে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনাবেচার অবৈধ বাজার।
সতর্কবার্তায় জাতিসংঘ উল্লেখ করেছে, মানবদেহ সংগ্রহ করতে বেশকিছু বিদেশী এজেন্সি বিদেশে চাকরির লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। একই সঙ্গে চাকরি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া বিনা মূল্যে সম্পাদনেরও প্রস্তাব দেয় এজেন্সিগুলো। শুধু তা-ই নয়, বিদেশে যেতে উড়োজাহাজের টিকিটের অর্থও পরিশোধ করে এজেন্সিগুলো। তবে এসব লোভনীয় প্রতিশ্রুতি তাদের ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর মতো ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে। একবার বিদেশে পৌঁছলেই চক্রটি ভুক্তভোগীকে হত্যা করে। পরবর্তী সময়ে নিহতের দেহ থেকে মহামূল্যবান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করে নেয় তারা। জাতিসংঘ বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে চাকরি নিয়ে গিয়েছেন এমন অনেক ভুক্তভোগীর পরিবার পরবর্তী সময়ে আর কখনো তার খোঁজ পায়নি। এ কারণে জীবন বাঁচাতে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের সতর্কবার্তায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উৎস হিসেবে নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এর পরও বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। অধিকাংশ অভিবাসনপ্রত্যাশী তরুণের গন্তব্য থাকে মধ্যপ্রাচ্য। বাড়তি ব্যয়ের কারণে অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় কোনো এজেন্সি যদি বিনা পয়সায় অভিবাসনের প্রলোভন দেখায়, তাহলে তা অনেকেই লুফে নেয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
আগেও এ ধরনের প্রলোভনে পড়ে বাংলাদেশী অনেক তরুণী মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হয়েছেন। সেখানকার ড্যান্সবারে তাদের আটকে রেখে অনেক অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে পাচারকারীরা। বর্তমানে দুবাইয়ের বিভিন্ন বারে অন্তত দেড় হাজার বাংলাদেশী তরুণীকে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের অধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। এসব তরুণী গুম হয়ে গেলেও পরে তাদের কাউকে আর খুঁজে বের করার কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অভিবাসনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়; আমেরিকা বা ইউরোপ মহাদেশের উন্নত দেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়েও অভিবাসনপ্রত্যাশী তরুণদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করে মানব পাচারকারীরা। এজন্য শুরুতে আকাশপথে ভিসা পাওয়া সহজ এমন কোনো দেশে বৈধভাবে আকাশপথে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণদের। মানব পাচারের ট্রানজিট এসব দেশ থেকে শুরু হয় ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা। যে যাত্রায় ডিঙোতে হয় দুর্গম পাহাড় বা কয়েকশ মাইল জঙ্গল। ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ সাগর পাড়ি দিতে হয় অনিরাপদ নৌযানে করে। কিন্তু অনেকের ভাগ্যেই গন্তব্যে পৌঁছা আর হয়ে ওঠে না। শেষ পর্যন্ত তরুণের ভাগ্যে কী ঘটে তারও কোনো খবর পাওয়া যায় না। নিখোঁজ তরুণরা যে অঙ্গ পাচারকারীদের হাতে পড়েনি, সে আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
অভিবাসনবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রামরুর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক ড. সিআর আবরার এ প্রসঙ্গে বলেন, মানব অঙ্গ পাচারের বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে কম-বেশি আলোচনায় রয়েছে। তবে জাতিসংঘ যখন সতর্কবার্তা দিয়েছে, তখন বিষয়টি উদ্বেগের। অভিবাসনের জন্য ন্যূনতম একটা খরচ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই মাইগ্রেশনের প্রলোভন দেয়া হলে সে ফাঁদে অনেক বাংলাদেশী বেকার তরুণই পা ফেলতে পারে। তাই কর্তৃপক্ষকে এখনই সতর্ক অবস্থান নিতে হবে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রচারণাও বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, অঙ্গ পাচারের সিন্ডিকেট হয়তো ইউরোপ বা আমেরিকায় অভিবাসনের কথা বলে ভুক্তভোগীদের রাজি করাচ্ছে, যাদের শেষ গন্তব্য হয়তো সিন্ডিকেটের হাতে মৃত্যু। বিভিন্ন সময়ে অভিবাসনপ্রত্যাশী এমন অনেক ভুক্তভোগীর তথ্য পাওয়া গিয়েছে, পরবর্তী সময়ে যাদের পরিবার কখনই আর তাদের খোঁজ পায়নি। এ ধরনের নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও মানব অঙ্গ কেনাবেচার অবৈধ বাজার হিসেবে প্রথম সারিতে রয়েছে ইউক্রেন। সেখানকার বাজারে মানব অঙ্গের সবচেয়ে বড় ক্রেতা দেশ ইসরায়েল। ইউক্রেন থেকে সরবরাহকৃত মানব অঙ্গ ইসরায়েল থেকে পরবর্তী সময়ে ইউরোপের বাজারে যায়। ইউক্রেনে বাংলাদেশ থেকে পাচারের শিকার হয় মূলত অল্প বয়সী শিশুরা। বিগত বছরগুলোয় এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্যই তাদের পাচার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির ‘ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম অ্যান্ড দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ইসরায়েলকে মানব অঙ্গ কেনাবেচার বড় বাজার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ কিডনির সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ও ক্রেতা দেশ ইসরায়েল। অবৈধ কিডনির সবচেয়ে বেশি মূল্য সেখানেই পাওয়া যায়। ইসরায়েলের বাজারে প্রতিটি কিডনি বিক্রি হয় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলারে। জাতিসংঘের অফিস অব ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে পাচারের শিকার হওয়া মানুষের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও কিশোরী। প্রধানত যৌন ব্যবসা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে নেয়ার উদ্দেশ্যেই তাদের পাচার করা হয়। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটা দেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী ও শিশু পাচার করা হচ্ছে। তবে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এর মাত্রা বেড়েছে। এক্ষেত্রে সক্রিয় রয়েছে বড় বড় পাচার চক্র। মানব পাচারকারীরা সারা বিশ্বেই নারী ও কিশোরীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে চলেছে। শনাক্তকৃত ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশই যৌন নিপীড়নের সম্মুখীন হয়।
এ বিষয়ে জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) মহাসচিব (সদ্য বিদায়ী) শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, বিদেশে গিয়ে কেউ মিসিং হয়েছে এমন অভিযোগ কিন্তু আমরা পাইনি। তবে জাতিসংঘ যেহেতু অ্যালার্ট দিয়েছে, তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। বায়রার সদস্য নিবন্ধিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে এ ধরনের পাচার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ এজেন্সির মাধ্যমে কে কোথায় যাচ্ছেন, কী চাকরি করছেন সব তদারক করা যায়। পাচারের মতো ঘটনাগুলোয় মূলত অবৈধ দালাল চক্র জড়িত। এটি রুখতে কর্তৃপক্ষকে যেমন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, তেমনি যারা যাচ্ছেন তাদেরও সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অভিবাসনের পথ কিন্তু অল্প কয়েকটি। প্রধান পথই হলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে ইমিগ্রেশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে। তারা নজরদারি বাড়ালে মানব পাচার অনেকটাই রুখে দেয়া সম্ভব।