পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মো. রাহাত হাওলাদার(১১) ও ওহেদুল ইসলাম হাওলাদার লালন(৯) নামের ২ শিশুকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়া সহ গুরুতর আহত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১০ মার্চ) বিকালে উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রাজপাশা গ্রামে। এ ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গেছে, হামলায় রাহাত হাওলাদারের বাম হাত ভেঙ্গে দেয়া সহ পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা তার মামাতো ভাই ওহেদুল ইসলামকেও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহত রাহাতের বাড়ি উপজেলার নদমুলা ইউনিয়নের চরখালী গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত্যু শামীম হাওলাদারের ছেলে। আর আহত ওহেদুল ইসলাম হাওলাদার লালন উপজেলার রায়পাশা গ্রামের বেলাল হাওলাদারের ছেলে। গত ২ বছর আগে রাহাতের পিতা-মাতা মারা যাওয়ায় সে রায়পাশা গ্রামে তার মামা বেলাল হওলাদারের বাড়িতে থাকে। রাহাত স্থাণীয় রাজপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ও ওহেদুল ইসলাম লালন স্থাণীয় রাজপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। আহত রাহাত হাওলাদার জানায়, ওই দিন বিকাল ৫টার দিকে রাজপাশায় বাদল হাওলাদারের বাড়ির সামনের রাস্তায় বসে বাদল হাওলাদারের ২ ছেলে সাইমুন ও সিয়াম তার ভাইরপো মুবিনকে মারছিলো। বিষয়টি মুবিনের মাকে আমরা জানালে সাইমুনের পিতা বাদল হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে (রাহাত) ও আমার মামাতো ভাই ওহেদুলকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার পিটুনিতে আমার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার ফয়সাল আহম্মেদ জানান, রাহাতের বাম হাতের কনুই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তার হাড় ভাঙ্গা জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে আহত করা সহ ওহেদুলের শরীরেও ফুলা জখম রয়েছে। আহত রাহাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভান্ডারিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, অভিযুক্ত বাদল হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, পিতৃ-মাতৃহীন অসহায় রাহাত এর চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করছে থানা পুলিশ । ইতিমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।