গোপালগঞ্জে নতুন করে আরও ৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে মোট ২১ জনের দেহে করোনাভাইরাস মিলেছে। সিভিল সার্জন ডাঃনিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শনাক্ত ৪ জনের বাড়ি কাশিয়ানী উপজেলার কাশিয়ানী সদর, মহেশপুর ও সাজাইল ইউনিয়নে। তারা ঢাকা থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে কাশিয়ানীতে আসেন। গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলার মধ্যে কাশিয়ানীতে এই প্রথম করোনা শনাক্ত হলো।
কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃকাইয়ূম তালুকদার বলেন, গত ১৫ এপ্রিল আক্রান্ত রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইডিসিআরে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে তাদের পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর আক্রান্তদের পরিবারসহ বেশ কয়েকটি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। আশপাশের পরিবারগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’শারীরিক অবস্থা দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃজসীম উদ্দীন জানান,শনিবার জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বসকষ্ট নিয়ে করোনা বিভাগের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ময়না (৩০) নামে এক গৃহবধূ ভর্তি হয়েছেন। ময়না উপজেলার মল্লিকের মাঠ এলাকার নিয়ামতের স্ত্রী।
অপরদিকে গত ১২ এপ্রিল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বুধপাশা গ্রামের গৃহবধু সনিয়া বেগম (২০), ১৪ এপ্রিল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামেরগৃহবধূ আসমা (৫০) ও ১৫ এপ্রিল মুকসুদপুর উপজেলার টিকারডাঙ্গা গ্রামের মন্দির ভিত্তিক স্কুলের শিক্ষিকা শিখারানী ঠাকুর (৫২) মারা যান। এদের কারও নমুনায় করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলেও জানান সিভিল সার্জন ডাঃনিয়াজ মোহাম্মদ। গোপালগঞ্জ সদরে ৩ মুকসুদপুরে ১০ পুলিশ সদস্য, কাশিয়ানীতে ৪, টুঙ্গিপাড়ায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ ও কোটালীপাড়ায় ১ জনসহ মোট ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের সংশ্লিষ্ট উপজেলার আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র