রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন

সজনের কেজি ২০০, পেঁয়াজ ৫৫ টাকা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১

বাজারে মৌসুমের নতুন সবজি হিসেবে উঠতে শুরু করেছে সজনে ডাটা। তবে এ সবজিটির দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এক কেজি সজনে ডাটা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। এদিকে, সপ্তাহের শুরুতে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা হয়ে গেছে। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। তবে পটল ও ঢেঁড়সের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। এছাড়া আলু, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, গাজর, বেগুনসহ বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে নতুন আসা সজনের ডাটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। তবে সব বাজারে এই সবজিটি পাওয়া যাচ্ছে না। হাতেগোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী এ সবজিটি বিক্রি করছেন। রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায় একজন ব্যবসায়ী সজনের ডাটা নিয়ে এসেছেন। ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা সালাম নামের এই ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে নতুন এসেছে এ কারণে এখন সজনের ডাটার দাম বেশি। আমরাই ১৮০ টাকা কেজি কিনে এসেছি।
তিনি বলেন, এখন যে সজনে এসেছে এগুলোর ক্রেতা কম। এতো দাম দিয়ে সবাই কিনবে না। তবে কিছু মানুষ শখের বশে সজনে খাবেন। তাদের কথা চিন্তা করেই নিয়ে এসেছি। মালিবাগ হাজীপাড়া বাজারে গিয়ে সজনের দেখা মিলেনি। তবে খিলগাঁও তালতলা বাজারে দুজন ব্যবসায়ীর কাছে সজনে দেখা যায়।
খায়রুল হোসেন নামে তাদের একজন বলেন, ‘মোকামে খুব অল্প পরিমাণে সজনের ডাটা এসেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ৪ কেজি সজনে কিনেছি। যে দামে কেনা পড়েছে তাতে ২২০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব না।’
এদিকে গত শনিবার একদিনে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম নতুন করে আরও ১০ টাকা বেড়েছে। এতে মানভেদে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর পেঁয়াজের দামের বিষয়ে বলেন, ‘এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম দুই দফা বাড়বে কল্পনাও করতে পারিনি। ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করা পেঁয়াজ দেখতে দেখতে ৫৫ টাকা হয়ে গেছে। হুট করে এমন দাম বাড়লেও আড়তে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই।’ কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী গৌতম বলেন, ‘বাজারে এখন মুড়ি কাটা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। আগে আগে ওঠা এ পেঁয়াজের সরবরাহ আস্তে আস্তে কমে আসছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে আমাদের ধারণা কিছুদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।’
পেঁয়াজের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের মতো বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। পাকিস্তানি সোনালী বা কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা। আর লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। খিলগাঁওয়ের মুরগি ব্যবসায়ী আলম শেখ বলেন, ‘মুরগির দাম সহসা আর কমবে বলে মনে হয় না। কারণ সামনে রোজা। আমাদের ধারণা রোজার শুরুতে মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে।’
সজনের ডাটা, পেঁয়াজ, মুরগির দামে অস্বস্তি দেখা দিলেও বাজারে আগের মতোই ভরপুর রয়েছে শীতের সবজি। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি বিরাজ করছে সবজির দামে।
গত সপ্তাহে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটল ও ঢেঁড়সের দাম কিছুটা কমে এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাকি সবজিগুলোর বেশিরভাগের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপরদিকে আগের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শশার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
এছাড়া, মূলা ১৫ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং লাউয়ের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। একেকটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, পটল ও ঢেঁড়সের দাম কমে প্রায় অর্ধেকে চলে এসেছে। সামনে এ সবজি দুটির দাম আরও কমবে। তবে অন্যান্য সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের ধারণা এ মাস যেতে না যেতেই কিছু সবজির দাম বেড়ে যাবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com