যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে নিজের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে আবার সক্রিয় হবেন বলে তার এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন। ‘আমার ধারণা, আগামী দুই তিন মাসের মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার সামাজিক মাধ্যমে ফিরে আসবেন, তবে এবার তার নিজস্ব প্লাটফর্ম নিয়ে,’ জ্যাসন মিলার ফক্স নিউজকে বলেছেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের এই প্লাটফর্ম সামাজিক মাধ্যমে ‘হটেস্ট টিকেট’ বা অত্যন্ত জনপ্রিয় হবে। সেটি পুরো পরিস্থিতি পাল্টে দেবে বলে তিনি মনে করেন। জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়াবহ সহিংসতার পর থেকে ট্রাম্পের টুইটার এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকদের ওই হামলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এর কয়েক দিন পরে, টুইটার ঘোষণা করে, সহিংসতায় আরো উস্কানি দেয়ার আশঙ্কায় ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট- ‘অ্যাট রিয়েল ডোনাল্ড ট্রাম্প’ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রচলিত গণমাধ্যম এড়িয়ে সরাসরি সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য টুইটার ব্যবহার করে আসছিলেন ট্রাম্প। টুইটারে প্রায় ৯ কোটি অনুসারী ছিল সাবেক এই প্রেসিডেন্টের।
কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? এটা আসলে এখনো জানা যায়নি। মিলার এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি শুধুমাত্র বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী করবেন, সেটা সবাইকে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই উপদেষ্টা বলেছেন, ট্রাম্প তার এই নতুন প্রকল্প নিয়ে এর মধ্যেই ফ্লোরিডায় তার রিসোর্টে বেশ কয়েকটি টিমের সঙ্গে ‘বড় ধরনের’ কয়েকটি বৈঠক করেছেন। বেশ কয়েকটি কোম্পানি সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে মিলার জানিয়েছেন। ‘নতুন এই প্ল্যাটফর্ম হবে বিশাল বড়,’ তিনি বলছেন। কারণ তার মতে, ট্রাম্প ‘’অসংখ্য মানুষকে সেখানে টেনে নিয়ে আসতে পারবেন।
কেন ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছিল? ক্যাপিটল হিলে হামলা চালাতে সমর্থকদের আহবান জানানোর পর জানুয়ারি মাসে প্রথমে ১২ ঘণ্টার জন্য তার টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়। গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়ের স্বীকৃতি দিতে যখন কংগ্রেসের অধিবেশন চলছিল, সেই সময় হাজার হাজার সমর্থক ওই ভবনে হামলা করে। টুইটার তখন ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে তাদের নীতি ভঙ্গ করলে তার একাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়ার পর দুটি টুইট করেন ট্রাম্প। এরপর টুইটার ঘোষণা দেয় যে তার এসব টুইট তাদের সহিংসতাবিরোধী নীতির লঙ্ঘন। ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে ফেসবুক, গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচ ও স্ন্যাপচ্যাট। সূত্র : বিবিসি