দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে এবং এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গত মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোনো দিনক্ষণ নির্ধারণ না করে প্রতি মুহূর্তে আমাদের আন্দোলন করতে হবে। সরকারকে বিদায়ে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আর সেই লড়াইয়ে আমাদের বিজয়ী হতে হবে। এসময় তিনি আরো বলেন, দেশে যা কিছুই ঘটে তার জন্য বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করে সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় সেই ঘটনায় আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত। কিন্তু তাদের কোনো শাস্তি হয় না।
দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিরাজ করছে। অথচ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই, তারা ব্যর্থ।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির খায়রুল কবির খোকন, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, লিটন মাহমুদ, ইয়াছিন আলী, ফকরুল ইসলাম রবিন, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম প্রমুখ।