নওগাঁর রাণীনগরে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার নিউটন কচু। অধিক লাভজনক এই কচু চাষের দিকে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকরা। এটি মূলত লবনাক্ত অঞ্চলের ফসল হলেও বর্তমানে রাণীনগর উপজেলার কৃষকদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এই কচু চাষ করে স্থানীয় চাহিদা পূরন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করে অধিক মুনাফা অর্জন করাও সম্ভব। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য ফসলের থেকে কন্দাল জাতীয় ফসল এই নিউটন কচু চাষ করে কৃষকরা অল্প সময়ে ও কম খরচে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারবেন। এক বিঘা মাটিতে নিউটন কচু থেকে কৃষক প্রায় ৫০থেকে ৬০হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন। এই ফসলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সহজে রক্ষা করা যায়। পুষ্টিমানের দিক থেকে কচুতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রনসহ অন্যান্য ভিটামিন। এছাড়াও কচুতে যেহেতু কীটনাশকের ব্যবহার অনেক কম তাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বর্তমানে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের এই ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে চারা সরবরাহ থেকে শুরু করে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। অনেক কৃষকই ইতোমধ্যে নিউটন কচুর বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন। বিশেষ করে কাশিমপুর, গোনা, সদর ইউনিয়নে এই কচু বেশি চাষ হচ্ছে। এই অঞ্চলের কৃষকদের কাছে নতুন ফসল হিসেবে ইতোমধ্যেই সাড়া জাগিয়েছে নিউটন কচু। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশি করে কচু খাওয়ার বিকল্প নেই। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন এই কচুর সবকিছুই সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। একসময় মানুষ রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় বেশি বেশি করে কচু খেতো। কিন্তু সেই সব কচুর চেয়ে নিউটন কচু আরো বেশি পুষ্টিগুন সম্পন্ন। বর্তমানে উপজেলায় প্রায় শতাধিক কৃষক নিউটন কচু চাষ করছেন। প্রায় ৫হেক্টর জমিতে এই কচু চাষ হচ্ছে। অনেক কৃষক এই কচু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আশা রাখি আগামীতে এই কচুর চাষ আরো সম্প্রসারিত হবে।