ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল থেকে হেফাজতকর্মী ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় গতকাল শনিবারও (২৭ মার্চ) হাটহাজারী সদর এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
এদিন সকাল থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে সেখানে বিপুলসংখ্যক মাদরাসাছাত্র অবস্থান করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে র্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের মধ্যস্থতায় হেফাজত নেতা এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হলেও বিরাজমান সমস্যার সমাধান হয়নি। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে এমপি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাটহাজারী থানায় অবস্থান করছেন। দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিন দেখা গেছে, হাটহাজারী বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। থানা ভবনের দক্ষিণে বাসস্ট্যান্ডের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সেখানে অবস্থান করছে বিপুলসংখ্যক র্যাব ও পুলিশ। থানা এবং আশপাশে অবস্থান নিয়েছে বিজিবি সদস্যরা।
হাটহাজারী মাদরাসার দক্ষিণে ত্রিবেণী মিষ্টির দোকান এলাকায় চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি সড়কে বাঁশ ও টিনের ব্যারিকেড দিয়ে মাদরাসাছাত্ররা অবস্থান করছে। এমপি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানিয়েছেন, গতকাল রাতে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। মাদরাসাছাত্রদের পক্ষ থেকে ৫টি দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো- নিহত চারজনের ময়নাতদন্ত সঠিকভাবে করতে হবে, তাদের জানাজা-দাফনে বাঁধা না দেয়া, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং গুলির ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ। এমপি বলেন, ‘আমরা তাদের দাবি মেনে নিয়েছি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিচ্ছে না।’