ফরিদপুরের নগরকান্দায় স্বামী,শাশুড়ী ও ননদের নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়েছে ৬ মাসের অন্তসত্বা এক গৃহবধূ। জানাগেছে নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ছাগলদী গ্রামের সাত্তার শেখের কন্যা মুক্তা বেগমের পারিবারিক ভাবে একবছর আগে বিবাহ হয় উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের গজগাহ গ্রামের মৃত পাচু মন্ডলের পুত্র রাকীব মন্ডলের সাথে। কিন্ত বিয়ের পরথেকেই পরলোভী স্বামী ও শাশুড়ি প্রায় সময়ই বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক হিসেবে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ ও মানুষিক এমনকি শারীরিক নির্যাতন চালায় মুক্তার উপর। এরই মধ্যে মুক্তার ভাই ও পিতা কয়েক দফায় প্রায় তিন লক্ষ টাকা রাকিবকে দেয় মুক্তার সুখের কথা চিন্তা করে। এতেও রাকিবের পরিবার খুশি না হয়ে বরং নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায় নির্যাতন সহ্যকরতে না পেরে মুক্তা তার ভাই ও মার কাছে ঢাকার দোহার চলে যায়। এরপর রাকিব ও রাকিবের মা রেজি বেগম, বোন নিলুফা নতুন ফন্দি করে মুক্তাকে আনতে যায় ঢাকার দোহার থানার মুকসুদপুর এলাকায়। কিন্তু মুক্তার বড় ভাই মোতালেব শেখ তাদের কাছে মোক্তাকে না দিয়ে প্রায় তিন মাস আগে রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস ফকিরের কার্যালয়ে এক স্থানীয় শালিসের মাধ্যমে মুক্তাকে তার স্বামী শাশুড়ীর কাছে গজগাহ রেখে যায়। যে শালিসে নগরকান্দা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বোরহান আনিস, সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন লিটন ও কোদিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বড় ভাই আজিজুর মাতুব্বরসহ গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলো। শালিসের কিছু দিন পরই আবার শুরু করে মুত্তার উপর নির্যাতন। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার দুপুরে ৬ মাসের অন্তসত্বা মুক্তাকে স্বামী রাকিব, শাশুড়ী রেজি বেগম ও ননদ নিলুফা মিলে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল, ঘুষি, লাথি ও আছড়িয়ে গুরুতরভাবে আহত করে বেধে রাখে ঘরের খুটির সাথে। মুক্তার আহত হওয়ার খবর পেয়ে মুক্তার ভাই মোতালেব ও বোন রেশমা রাকিবের বাড়ীতে যেতে চাইলে রাকিব দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে। এসময় তারা প্রান বাচিয়ে দৌড়ে চেয়ারম্যান কুদ্দুস ফকিরের বাড়ীতে উঠে। পরে সেখান থেকে তারা নগরকান্দা থানায় এসে চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করে। গ্রাম পুলিশ মুক্তাকে উদ্ধার করে চেয়ারম্যান এর বাড়ীতে নিয়ে আসে। তখন মুক্তাকে নিয়ে যায় তার পরিবার। এবং নগরকান্দার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরতোর আহত অবস্তায় ভর্তি করে। মুক্তার ভাই মোতালেব শেখ বলেন রাকিব একজন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। এছাড়া চোট দলেরও সদস্য, সে একজন মাদকাসক্তও। তার বাড়ীতে হরেক রকমের অস্ত্র,মাথার নকল চুলসহ প্রত্যারনা করার হরেকরকমের উপকরণ রয়েছে। রাকিব নিয়মিত ইয়াবাসহ অন্যান্ন মাদকও সেবন করে থাকে। রাকিব আমার দোহারের বাসায় বেড়াতে গিয়ে আমার ইজিবাইকের চাবি চুরি করে নিয়ে যায় এবং কয়েকদিন পর আমার ইজিবাইক গ্যারেজ থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। বুজতে পেরেও বোনের সুখের কথা চিন্তা করে কারো কাছে বলিনাই।