ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত সবসময় বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পাশে থাকবে। গত শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, মোদি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে সবসময় ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং সবসময় বাংলাদেশ পাশে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে মোদি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপস্থিত থাকার জন্য রাষ্ট্রপতি হামিদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করতে তার (মোদি) এই সফর একটি অনন্য মাইলফলক হবে।
বৈঠকে অসহযোগ ও অন্যান্য গান্ধীবাদী পদ্ধতির মাধ্যমে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধুকে ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২০২০’ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি ভারত সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ভারত সরকারকে উপহার হিসেবে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টিকা পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি আশা করে বলেন, ভারত থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাংলাদেশে যে পরিমাণ টিকা আসবে তাও সময়মত আসবে। ১৯৭১ সালে ভারতের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ভারতের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে একটি দর্শণার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন, সেখানে তিনি সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিট থেকে প্রায় ৩০ মিনিট অতিবাহিত করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি দুই দিনের সফরে মোদিকে স্বাগত জানান। তিনি এখানে প্রধানত দুটি ঐতিহাসিক উৎসব উদযাপনে যোগ দিতে এসেছিলেন।