গবাদি প্রাণির অন্যতম প্রধান খাদ্য হিসাবে পরিচিত ধানের খড় এখন বিরামপুর থেকে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ইদ্রিস আলী জানান, আদিকাল থেকে গোচারণ ভ’মির ঘাঁস ও ধানের খড় খাইয়ে গরু-মহিষ পালন করা হতো। বর্তমানে গোচারণ ভ’মি কমে যাওয়ায় মালিকরা চাষকৃত ঘাঁস, ধানের খড়, ভ’ষি ও দানাদার খাদ্য খাইয়ে পশু পালন করছেন। খড় খেলে পশুর খাদ্য চাহিদা পূরণ ও ভলিয়্যুম বৃদ্ধি হয়। বিরামপুরের খড় ব্যবসায়ী নূর আলম জানান, গত আমন মৌসুমে বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে ধানের আবাদ ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়ায় সেসব এলাকায় খড়ের উৎপাদনও কম হয়েছে। ফলে বন্যার প্রভাব মুক্ত ধান আবাদের প্রসিদ্ধ দিনাজপুরের বিরামপুর এলাকা থেকে গো-খাদ্যের জন্য ধানের খড় কিনে ট্রাকে করে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিরামপুর শহরে প্রতি আঁটি খড় ৬/৭ টাকা দরে বিক্রি হলেও এই খড় বিভিন্ন জেলায় নিয়ে অধিক দামে বিক্রি করা হয়।