সংসারের বাড়তি আয়ের কোন পথ নাই। একমাত্র বিদ্যালয়ের অফিস সহকারির চাকুরির বেতনে স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে ভাল চলছিলো মফিজুল ইসলামের সংসার। কিন্তু মরণব্যাধি ক্যান্সার (লিভার সিরোসিস) মফিজুলের সংসার তছনছ করেছে। তার স্ত্রী ৩ সন্তানকে নিয়ে স্বামীর চিকিৎসায় দিশেহারা। অনেক সময় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। এখন শুধু স্বামীকে আগের মত সুস্থ্য দেখতে চায়। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়াইবাড়ী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি ও কোলকোন্দ ইউনিয়নের কুড়িবিশ্বা সাউদপাড়ার এলাকার শহীদার রহমানের ছেলে মফিজুল ইসলাম। ৪৬ বছর বয়স চলছে। বাড়তি আয় উন্নতির জন্য এমনকি বাড়ি করার জন্য নেই কোন জমি-জমা। অন্যে বাড়িতে বসবাস করে চাকুরির বেতনে একমাত্র স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিলো। সম্প্রতি মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় মফিজুল। তার চিকিৎসা করতে ধার দেনা করে স্ত্রী সেলিনা বেগম। এখন আর ধার দেনা নয় অনেক অর্থের প্রয়োজন। এজন্য তার কর্মস্থল বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার উদ্যোগে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে কিছু অর্থ সহায়তা দেয়। তবে চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়েছে। বিদেশ গিয়ে চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। মফিজুল ও তার স্ত্রীর পক্ষে এত টাকা জোগার করা সম্ভব নয়। ফলে অর্থ অভাবে বিদেশ যেতে পারছেনা। শশুর বাড়িতে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। মফিজুলের স্ত্রী স্বামীকে সৃষ্টিকর্তার কাছে সুস্থ্য দেখতে চায়, সে হৃদয়বান ব্যাক্তির কাছে অর্থ সাহায্যের কামনা করে। আর মফিজুল আগের মত কর্মস্থলে ফিরে যেতে ও স্ত্রী-সন্তানদের দেখাশুনা করতে পারে এজন্য উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে বাঁচতে চায়। মফিজুল প্রধানমন্ত্রীসহ বিত্তবান ও মানবিক সংগঠনের কাছে উন্নত চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য কামনা করেছেন। তার কাছে অর্থ পাঠানোর বিকাশ নম্বর ০১৯৬৪৫১৪৫৮৯।