ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ৯নং চরইসলামপুর ইউনিয়নের আলাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে অনিয়মে ভরপুর। ১ জানুয়ারী ২০২১ ইং তারিখ হতে সরকারের নির্দেশ মোতাবেক পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ কিন্তু স্কুল খোলা রেখে সরকারি নুতন বই বিতরণ ও ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির বিয়য়ে সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও, সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুগুলি প্রদর্শন করে, অদৃশ্য কাল শক্তির ক্ষমতার বলে তা বিতরণ না করে, স্কুল কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে দেন এবং কোন শিক্ষকই বিদ্যালয়ে আসেন না। বাংলাদেশ সরকারে উক্ত বিদ্যালয়ের জন্য সৌরবিদুৎ, প্রজেক্টর, ব্লু-টুথ স্পীকার, ল্যাপটপ সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বরাদ্ধ দিয়ে থাকলেও এসব জিনিস বিদ্যলয়ে নেই, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহোদয়ের স্বারক নং জেপ্রাশিয়/ ব্রাহ্মণবাড়িয়া/ সশিনি-২০১৮/ বিজয়নগর/২০২০/২৮৮(৯৫) মূলে উক্ত বিদ্যালয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং উক্ত বিদ্যালয়ে যোগদান করেন সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে ফাহমিদা আক্তার ডলি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহনেওয়াজ পারভীন, সহকারি শিক্ষা অফিসার মনসুর আহমেদ, প্রধান অফিস সহকারি মোঃ শাহজাহান, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুর রহমান তাদের যোগসাজসে, যোগদানের পর হতে অদ্যবধি স্কুলে হাজির না থেকেও সরকারি বেতন/ভাতা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন কি তিনি ১৬ ডিসেম্বর , ২১ ফেব্রুয়ারি ,৭ মাচ, দেশের জাতীয় দিবস গুলেতেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। সরেজমিনে ১৩ই মার্চ ২০২১ ইং রোজ শনিবার বেলা ১১ টায় বিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা যায়, উক্ত বিদ্যালয়ের একজন সহকারি শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল সাইদ ও দপ্তরি ব্যতিত আর কাউকে পাওয়া যায় নাই। হাবিবউল্লাহ, বর্তমান মেম্বার চান্দু মিয়া সহ অনেক এলাকাবাসী অভিযোগ তুলে বলেন , বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ নিয়মিত স্কুলে আসে না। এমনকি পড়াশুনার মানও অনেক নিম্ম। বিদ্যালয়ের সৌরবিদুৎ, প্রজেক্টর, ব্লুটুথ স্পীকার, ল্যাপটপ (ভারপ্রাপ্ত)প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান তার বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। সরকারী বই বিতরণ ও ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি না করে, স্কুল কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে দেন, শিক্ষকগণ বিদ্যালয়ে আসে না। (ভারপ্রাপ্ত)প্রধান শিক্ষক স্কুলে এসে মোবাইফোন সিম বিক্রি করেন। সহকারী শিক্ষিকা ফাহমিদা আক্তার ডলি স্বামী হাসনাত সরকার,সাং ফুলবাড়িয়া, ইউপি পত্তন, ১৯ শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং যোগদান করার পর দুই তিন দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। উক্ত স্কুলের সহকারি শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল সাইদ বলেন, বিদ্যালয়ে সৌরবিদুৎ, প্রজেক্টর, ব্লু-টুথ স্পীকার, ল্যাপটপ আমি যোগদানের পর থেকে তা দেখি নাই, ফাহমিদা আক্তার ডলি ও আমি একই সাথে স্কুলে নিয়োগ প্রাপ্ত হই, কিন্তু যোগদানের ২/৩ দিন পর থেকে লাপাত্তা, এলাকায় কথিত আছে ফাহমিদা আক্তার ডলি স্বামী প্রবাসে থাকেন তিনিও সেখানে গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ লোকমান মেম্বার জানান, ফাহমিদা আক্তার ডলি যোগদানের পর দুই দিন বিদ্যালয়ে এসে ছিলেন, আর বিদ্যালয়ে আসেন নাই। বিদ্যালয়ের স্লিপের/বরাদ্ধকৃত টাকার কোন কাজ করেন নাই। এমনকি (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক তার স্বাক্ষর জাল-জালিয়াত করে যাতবীয় কাজ চালাচ্ছেন,কোন বিষয়ে তাকে অবহিত করেন নাই। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহনেওয়াজ পারভীন বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়গুলো জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করিয়াছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেন ফাহমিদা আক্তার ডলি বিদ্যালয়ে উপস্তিত না থেকে অবৈধভাবে বেতন উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহনেওয়াজ পারভীন, সহকারী শিক্ষা অফিসার মনসুর আহমেদ, প্রধান অফিস সহকারি মোঃ শাহজাহান, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুর রহমান,আব্দুল্লাহ আল সাইদ তাদের যোগসাজসে উক্ত শিক্ষিকা এ যাবৎ সরকারি টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করে নিজ হেফাজতে নিয়ে যান। এ বিষয়ে (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান সাথে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনসুর আহমেদের নিকট বিগত এক বছর যাবৎ উক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেন নাই। এমন অনৈতিক কর্মকান্ডের শাস্তি না হলে, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অন্যান্য স্কুল শিক্ষক সহ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদ্বয় এতে অনুপ্রাণিত হয়ে এহেন ন্যাক্যারজনক কাজ করতে দ্বিধা করবেনা, এতে সরকরী জিনিসপত্র , অর্থ লোটপাট,ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে দেশ ধ্বংসে পতিত হবে, তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকার সচেতন মহল। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কে এম ইয়াসির আরাফাতের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখ জনক। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।