সম্প্রতি বলিউডে মুক্তি পাওয়া দ্যা হোয়াইট টাইগার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে চলতি বছরের শুরুতে। এরপর থেকে অনেকের পচ্ছন্দের তালিকায় যোগ হয়েছেন বলরাম হালওয়াই খ্যাত আদর্শ গৌরব। দ্যা হোয়াইট টাইগার সিনেমায় তার দুর্দান্ত অভিনয় সবকিছু খুব জীবন্তভাবে তুলে ধরেছে দর্শকদের কাছে। এরই মধ্যে সিনেমাটি জায়গা করে নিয়েছে অস্কারের মনোনয়নের তালিকায়। দ্যা হোয়াইট টাইগার সিনেমার সাফল্যের কথা গৌরবের কাছে জানতে চাওয়া হলে আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রাথমিক তালিকায় যখন নাম ছিল, তখনও বেশ অবাক হয়েছিলাম। শর্ট লিস্টে থাকার কথা আশাই করিনি। ওই মাপের নামেদের পাশে আমার নাম থাকায় অসম্ভব কৃতজ্ঞ আমি। ওই সিনেমার পরে অডিশন কল আসা বেড়ে গিয়েছে, প্রচুর স্ক্রিপ্ট পড়ছি, অনেক ইন্টারভিউ দিচ্ছি । সোজা কথায়, কাজের পরিধি ও সুযোগ বেড়ে গিয়েছে ।’
সিনেমার চরিত্র নিয়ে গৌরব বলেন, ‘১৩-১৪ বছর বয়সে অরবিন্দ আদিগার ‘দ্য হোয়াইট টাইগার’ উপন্যাসটা আমার পড়া ছিল। তাই স্ক্রিপ্টটা পড়েই বুঝতে পারি, কোন গল্প থেকে সিনেমা হতে চলেছে। ওয়ার্কশপ শুরু হল, ছয় থেকে সাত রাউন্ড ধরে। পরিচালক রামিন বাহরানি তৃতীয় রাউন্ডের পর থেকে এলেন। বেঙ্গালুরুর বলরাম আর বিহারের বলরামকে আলাদা করে রপ্ত করতে শেখালেন উনি।’
বলরাম হয়ে ওঠার প্রস্তুতির জন্য অনেকটা সময় পেয়েছিলেন গৌরব। অভিজ্ঞার জন্য ড্রাইভিং করতে চেয়েছিলেন কিন্তু কেউ সুযোগ দেয়নি। তারপর বিহারের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা বলরামকে চিনতে গ্রামে যেয়ে দু সপ্তাহ থাকেন গৌরব। তারপর দিল্লিতে পরিচয় গোপন করে একটি দোকানে কাজ নেন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করে ১০০ টাকা পেতেন। এতে করে ধীরে ধীরে বলরামের আইডেন্টিটি তার সাথে মিশে যায়।
এখন বেশ কয়েকটি ভাল ভাল ছবি ও ওয়েব সিরিজের প্রস্তাব রয়েছে গৌরবের হাতে। নভেম্বর থেকে শুটিং শুরু করেছেন একটি সিনেমার, যার জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে নিজেকে অনেকটা পাল্টাতে হবে তাকে। এছাড়া নিজের ব্যান্ডের জন্য গান লেখেন গৌরব, ভবিষ্যৎ এ প্লেব্যাক করার ইচ্ছা রয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার