হতাশার ২০২০ সাল পেরিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই আশার আলো দেখালো নাটক ‘ক্যান্ডি ক্রাশ’। সিএমভি প্রযোজিত এই নাটকটির দৌলতে নেটিজেনদের কাছে শুরু থেকে এখনও তুমুল প্রশংসা কুড়াচ্ছেন অপূর্ব-মেহজাবীন।
সেই ফাঁকে এই জুটির ক্যারিয়ারে যুক্ত হলো নতুন সোনালি পালক। ইউটিউবে দ্রুততম কোটি ভিউয়ের ক্লাবে আবারও হানা দিলেন তারা। ‘ক্যান্ডি ক্রাশ’ নাটকটি প্রকাশের মাত্র ৯৫ দিনের মাথায় অতিক্রম করলো কোটি ভিউয়ের ঘর। যা তালিকা হিসেবে বাংলাদেশের দ্রুততম কোটি ভিউ হওয়া ষষ্ঠ নাটক।
৩ জানুয়ারি সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত হয় মহিদুল মহিমের রচনা ও পরিচালনায় নাটক ‘ক্যান্ডি ক্রাশ’। এটি কোটি ভিউ অতিক্রম করে গত ৮ এপ্রিল। এমন সফলতা প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন, ‘বছরটা খুব ভালো একটি কাজ দিয়ে শুরু করেছি। তিন মাসের মাথায় তার ফলও পেলাম। শুরু থেকেই নাটকটি থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। দর্শকরা নাটকটি খুবই পছন্দ করেছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে এই নাটকটি আমারও খুব পছন্দের। নির্মাতা মহিদুল মহিম, আমার কো-আর্টিস্ট মেহজাবীন দারুণ সমর্থন দিয়েছেন এতে। নাটকটি এখনও যদি কেউ না দেখেন, দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
এদিকে নির্মাতা মহিম মনে করেন, কোনও ভালো কাজ এককভাবে সম্ভব নয়। এই নাটকটিও যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। তার ভাষ্যে, ‘নাটকটি নিয়ে দর্শকদের কাছ থেকে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। কাজটি অনেক যতœ নিয়ে করার চেষ্টা করেছি। সবাই নাটকটি পছন্দ করায় কষ্ট সার্থক হয়েছে। আর অপূর্ব ভাইয়া ও মেহজাবীন আপুর দুর্দান্ত অভিনয় নাটকটিকে পূর্ণতা দিয়েছে বলে আমি মনে করি। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রযোজক সাহেদ আলী পাপ্পু ভাই ও সিএমভি’র সবাইকে।’ এদিকে নাটকটির এমন দ্রুত সফলতা প্রসঙ্গে মেহজাবীন বললেন একটু বিস্তারিত। তার ভাষ্যে, ‘আমাদের পুরো টিমের ইচ্ছা ছিল নাটকটি যেন বছরের শুরুতেই সম্প্রচার হয়। কারণ, ভারাক্রান্ত একটা বছর পেরিয়ে আমরা নতুন বছরটা শুরু করতে চেয়েছি হাসি-আনন্দ দিয়ে। আমরা চেয়েছি, নাটকটি দেখে দর্শক একটু হাসবে, এনায় করবে। সেই চিন্তা থেকেই কাজটি করা। এবং এখন যখন দেখি আমাদের পরিকল্পনাটি কাজে লেগেছে, তখন মনটা ভালো হয়ে যায়।’ ইউটিউব ভিউতে দ্রুততম কোটি ভিউয়ের বাংলাদেশ ক্লাবে শীর্ষ ১১ নাটকের তালিকাটি এমন- ‘শিল্পী’ (২৬ দিন), ‘বড় ছেলে’ (৩৩ দিন), ‘এক্সচেঞ্জ’ (৫৩ দিন), ‘মিস্টার অ্যান্ড মিস চাপাবাজ’ (৭৩ দিন), ‘ক্যান্ডি ক্রাশ’ (৯৫ দিন) ‘ভালোবাসি তুমি আমি’ (১৩০ দিন), ‘যমজ ১০’ (১৫৯ দিন), ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’ (১৭২ দিন), ‘মিশন বরিশাল’ (২০৪ দিন), ‘টম অ্যান্ড জেরি’ (২১৫ দিন) এবং ‘বুকের বাঁ পাশে’ (২৭৪ দিন)।