যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউএস চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে গঠিত এই নতুন বাণিজ্য সংস্থা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ করার জন্য একটি বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সাবেক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিশা বিসওয়ালের সঞ্চালনায় গতকাল ভার্চুয়াল এই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, বর্তমান রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং উবারের সিইও দারা খোসরোশাহি। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান শেভরন, ওয়ালমার্ট, জেনারেল ইলেকট্রনিক্স, মেটলাইফ, ফেসবুক, বিকাশ এবং শপআপের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে উভয় দেশের পক্ষ থেকেই পর্যাপ্ত নীতি সহায়তা দেয়া জরুরি।
তিনি আরও বলেন, এই নতুন সূচনা বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সম্পর্কে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমবর্ধমান আগ্রহেরই প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার বক্তব্যে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাবের ওপর আলোকপাত করেন। অবকাঠামো এবং নীতি সুবিধার কারণে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে দ্রুত আইটি উদ্যোক্তা বাড়ছে এবং বাংলাদেশের কিছু স্টার্ট-আপ কোম্পানি, যেমন: পাঠাও বা বিকাশ সারাবিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। কাউন্সিলের উদ্বোধন উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ : পরবর্তী ৫০ বছরের প্রবৃদ্ধি পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীরসহ মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জি ও মেটলাইফের নির্বাহীরা। বাংলাদেশের মোবাইল আর্থিক সেবা বিকাশের বিশ্ব স্বীকৃতি প্রসঙ্গে কামাল কাদীর বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেগুলেটেরি নির্দেশনা, বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ এবং মোবাইল নেটওয়ার্কের শক্তিশালী অবকাঠামো বিকাশকে দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে অবদান রাখতে সহায়তা করেছে।
সামনের দিনে আরও বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আছে সঠিক নীতিমালা, ডিজিটাল অবকাঠামো, কার্যকর পেমেন্ট সিস্টেম এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যা অনুমেয় সফলতা নিয়ে আসবে।