দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে টানা দুদিন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যায় রেকর্ড হল। গত শনিবার একদিনে ৭৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওইদিন পর্যন্ত সেটিই ছিল একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। গতকাল রোববার (১১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৪ এপ্রিল থেকে সাধারণ ছুটির ঘোষণা আসতে পারে: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের সাধারণ ছুটি ঘোষণা আসতে পারে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। এই বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ ছুটির ঘোষণা আসছে। আপাতত এক সপ্তাহের হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে এটি আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোরও চিন্তাভাবনা আছে।
সাধারণ ছুটির মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ রাখাসহ অন্যান্য কী কী বিধিনিষেধ থাকবে, সেটি নিয়ে এখন কাজ চলছে। পরিপত্রে এসব বিষয় স্পষ্ট করা হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের চলমান লকডাউনের ধারাবাহিকতায় চলবে আগামী কাল ও পরশু (১২ ও ১৩ এপ্রিল)। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। আর ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।
সরকারি সূত্রমতে, মোটামুটি গত বছর সাধারণ ছুটিতে যেভাবে চলেছিল সে রকম কিছুই হতে পারে। গত বছর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা হয়েছিল। প্রথমে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরে কয়েক দফায় বাড়িয়ে ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি হয়। প্রথমে জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকলেও একপর্যায়ে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাসহ কিছু কিছু বিষয় খুলে দেওয়া হয়েছিল। এবারও ‘লকডাউনে’ পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে পোশাক খাতের চারটি সংগঠন। আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ ও ইএবি।