জামালপুরের মেলান্দহের ব্রহ্মপুত্র ও উরমান নদী থেকে বালু খেকুর চক্রটি অবৈধভাবে ড্রেজার ও ভেক্যু মেশিন দিয়ে ক্রমাগত বালি উত্তোলন করছে। লকডাউনকে পুঁজি করে বালি উত্তোলন চক্রটি আরো বেপরোয়া হয়েছে। টানা তিন বছর যাবৎ টুপকারচরের ব্রহ্মপুত্র এবং খাসিমারা-পুঠিয়াপাড়ার উরমা নদী থেকে এই বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। ভুক্তভোগিরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কাঙ্খিত প্রতিকার পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। বালি উত্তোলনের ফলে আবাদের জমি নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। হুমকীর মুখে পড়েছে টুপকারচর পাইলিং, নবনির্মিত ভূমিহীনদের আবাসনসহ পুরো টুপকারচর গ্রাম। অভিযোগে প্রকাশ, প্রশাসনের অভিযান চালানোর পর কয়েকদিন বালি উত্তোলন বন্ধ থাকে। এরপর প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং স্থানীয় দালালদের সাথে সাথে রাতারাতি আঁতাত করে বালি উত্তোলনের হিড়িক পড়তে দেখা যায়। ফলে অভিযোগকারিরা পড়ে যান বিপাকে। টুপকারচরের নাসিমা বেগম(৪২) জানান-৭বার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছি। অপরজন ইন্তেজ আলী(৫০) জানান নদী ভাঙ্গনে ৯বার আমার বাড়ি ভেঙ্গেছে। ড্রেজার-ভেুক্যু মেশিন দিয়ে যেভাবে বালি উত্তোলন চলছে তাতে আমরা আতংকের মধ্যে আছি। আলা উদ্দিন(৬০) জানান-ওরা কয় নদী পইরেই থাহে। পানি আইলে তো ভইরেই যায়। উরমা নদীর তীরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আহেদ আলী খোকা(৬০), ফুলু মিয়া(৩৫), সাহেরা বেগম(৪৫)সহ এলাকাবাসি জানান-প্রতিবাদত করলে বালি খেকুরা প্রশাসনের ভয় দেখায়। হয়রানিও করে। এখন গুচ্ছগ্রামের মাটি কাটার অজুহাত দেখিয়ে টানা দুই মাস যাবৎ উরমা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন ও ভেক্যু মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলনের মহোৎস চলছে। প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে উত্তোলিত বালি বিভিন্ন এলাকা এবং ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামীন জানান-স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়েছি। ড্রেজার মেশিন পুড়ানো হয়েছে। মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্টও করা হয়েছে।