শোবিজের মানুষদের প্রতি ভক্তদের কৌতুহলের শেষ নেই। তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন, ধর্মীয় আচরণ কেমন তাও জানতে চান অনেকে। তাদে জন্য এই রমজানে আমাদের আয়োজন তারকাদের রোজা রাখা, রোজার স্মৃতি ও নানা বিষয়াদি। রোজা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র একটি ইবাদাত। রমজান মাস জুড়ে চলে এ ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা । এর যেমন আছে ধর্মীর গুরুত্ব তেমনি এদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেও মহিমান্বিত করেছে রমজান। আমরা অনেকেই শৈশবের রোজা পালন নিয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগে থাকি। অনেকে রোজা এলে নানা রকম উপলব্ধিও করি। তারকারাও তার ব্যতিক্রম নন। চলতি প্রজন্মের নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘিও এই তালিকায় রয়েছেন। তিনি জানান, ক্লাস ওয়ান থেকেই রোজা রাখেন তিনি। স্পষ্ট মনে আছে তার, ওয়ানের ছাত্রী যখন তখন ১৮টা রোজা রেখেছিলেন।
দীঘি বলেন, ‘তবে আমার নিয়মিত রোজা রাখার শুরু ক্লাস টু থেকে। আম্মু খুব খুশি হতেন রোজা রাখলে।’
এ নায়িকা আরও যোগ করেন, ‘মা বেঁচে থাকতে তো অনেক ছোট ছিলাম, তাই রোজা রাখতে দিত না। কিন্তু খুব ইচ্ছা হতো রোজা রাখার। বাসার সবাই রাখতো তো। সেহরির সময় দেখা যেত ঘুমিয়ে যেতাম। কিন্তু বাইরের আওয়াজ, সবার হাঁটা চলার শব্দে সেহরির সময় ঠিকই উঠে যেতাম।
বাধ্য হয়েই আমাকে খাবারের টেবিলে রাখতে হতো । খেতাম আর বলতাম আমিও রোজা রেখেছি। যদিও পরের দিন সকাল বেলা ওঠার পর মা জোর করে খাওয়াতো। সেহরির সেসব দিনগুলো খুব মিস করি। মাকেও খুব মিস করি।’
ইফতার নিয়েও দীঘির আছে মজার স্মৃতি । তিনি শেয়ার করলেন, ‘পরিবারে সবার ছোট ছিলাম আমি। যার ফলে ইফতারের সবচেয়ে ভালো খাবারটা আমার পাতেই দেয়া হতো। এটা আমার কাছে খুব মজা লাগতো। বড় হয়ে যখন জানতে পারলাম রোজা রাখাটা অনেক সওয়াবের তখন থেকে ভালো লাগাটা বহুগুণ বেড়ে যায়।’
সেহরী, ইফতারে খাবার নিয়ে আলাদা কোনো পছন্দ নেই দীঘির৷ একজন বাঙালি হিসেবে সেহরিতে ডিনারের যেসব মেন্যু সেসবই থাকে । আর ইফতার করেন ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো দিয়েই। যেমন পেয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ এগুলো। মাঝে মাঝে ইফতারে খিচুরি বা বিরিয়ানি জাতীয় খাবার খাওয়া হয়। প্রসঙ্গত, দীঘি সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকের শুটিং শেষ করে দেশে ফেরেছেন। এদিকে, ইতোমধ্যে শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হওয়া দীঘির দুইটি সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। সেগুলো হলো ‘তুমি আছো তুমি নেই’ ও ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’।