কটিয়াদী পৌরসভার বেথইর এলাকায় বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপের ০৩ টি ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় বোরো ধান রোপন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা। সেচ সুবিধা বন্ধ হয়ে পরায় প্রায় ১০০ একর ফসলি জমিতে চাষাবাদ প্রক্রিয়া মুখ থুবড়ে পড়েছে। নতুন করে ট্রান্সফরমার স্থাপন করে আবার কবে নাগাদ সেচ পাম্প চালু হবে এ নিয়েও রয়েছে সংশয়। পৌরসভার ০৯নং ওয়ার্ডের বেথইর গ্রামের সেচ পাম্প পরিচালনাকারী নুরুল ইসলাম সংগ্রাম ও আব্দুল মালেক জানান এক মাস আগে বাড়ির পাশ থেকে এক রাতেই তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। আমরা অভিযোগও করেছি। বিদ্যুৎ অফিস আমাদেরকে নিজ খরচে ট্রান্সফরমার স্থাপন করতে বলেছে। বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করলেও আমাদের জন্য তিনটি ট্রান্সফরমার কেনার টাকা নেই। তিনটি ট্রান্সমিটার কিনতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কটিয়াদী বিদ্যুৎ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রাহক যদি ট্রান্সমিটার ক্রয় করতে পারে তাহলে খুব দ্রুত সংযোগ দিয়ে চালু করা হবে সেচ পাম্পগুলো। জানা যায়, গত কয়েক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকটি গভীর নলকূপের ট্রান্সমিটার চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এভাবে একের পর এক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় জমিতে বোর ধান চাষ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। এসব চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও চোর চক্রের কেউ আটক না হওয়ায় চুরির হিড়িক বাড়ছে দিন দিন এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী সেচ পাম্প মালিক ও অপারেটরদের। বিদ্যুৎ অফিস ও গ্রাহকদের অভিযোগ, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও এখন পর্যন্ত হদিস মেলেনি চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের বা এ ঘটনায় কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ। ফলে চুরির ঘটনা বাড়ছে দিন দিন। কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কটিয়াদী জোনের এজিএম শাহরিয়ার হোসেন তন্ময় জানান, বিভিন্ন জায়গায় ট্রান্সমিটার চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ওই সেচ পাম্পে ট্রান্সফরমার স্থাপন করে সংযোগ চালু করা হবে। কটিয়াদী থানা ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।