সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘চলমান লকডাউনের পরে জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালু করা হতে পারে। তবে লকডাউন শিথিল হলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাই।’
গতকাল শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র বরিশাল সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
গণপরিবহন চালুর পর অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
গুজব আর অপপ্রচার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশ-বিদেশে যে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে, তার অর্থের যোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে দেশের একটি রাজনৈতিক দল। অপপ্রচার আর গুজবের জন্য যাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়, তাদের ব্যাপারে বিরোধী দল ডিজিটাল নিরাপত্তা বিরূপ সমালোচনা করে থাকে। তাই বলছি সাইবার ক্রাইম ও ডিজিটাল নিরাপত্তা সরকারের অ্যাকশনের বাইরে থাকবে, এটা মনে করার কোনও কারণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা জনগণকে দিতেই হবে। গুজব আর অপপ্রচার নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করে।’ ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘প্রতিদিন বিরোধীদল সরকারের বিরুদ্ধে যা নয় তাই বলে। প্রধানমন্ত্রীকেও ছাড়ছে না অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে। কিন্তু সেখানে কারও বিরুদ্ধে কি এসব বক্তব্যের কারণে কোনও প্রকার হয়রানি বা গ্রেফতার করা হচ্ছে?’