পল্লবীতে খুন হওয়া নারী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা পারিবারিক কলহের জেরে রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হওয়া উমামা বেগম (৪৫) পরিচয় মিলেছে। তিনি আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য। গতকাল শনিবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মো. ওমর আলীকে (৫২) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার আকলিমা খাতুন।
দুটি সন্তান নিয়ে ২০/২১ বছরের সংসার উমামা বেগম কনকের। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তার। আর এর জের ধরেই শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত বারোটার দিকে স্বামীর হাতে মারাত্মকভাবে জখম হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা। সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা। স্বজনরা বলেন, এরকম একটা ঘটনা ঘটবে আমরা কখনও কল্পনাও করিনি। আমাদের এলাকায় কখনো এরকম ঘটনা আগে ঘটেনি। আমরা চাই এ ঘটনার সুষ্টু বিচার হোক। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) আনুমানিক রাত ১১.৩০ মিনিট থেকে ১২ টার ভেতরে। ওই দম্পতি মিরপুর ডিওএইচএস-এ বসবাস করত। গৃহবধূর স্বামী অনেকদিন ধরেই প্রবাসে ছিল। করোনাকালে কিছু না করার কারণেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়, সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
পুলিশ আরও জানায়, বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওমর আলী গৃহবধূকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ শনিবার ভোরে মারা যায়। তদন্তের মাধ্যমে হত্যার আসল কারণ খুঁজে বের করা হবে বলে জানায় পুলিশ। পুলিশ বলেন, ইতোমধ্যে আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। তার স্বামীকেও আমরা গ্রেফতার করেছি এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।