বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মাঠের পর মাঠ বোরো ধানের সোনালী ফসলের সমারোহ। চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। বোরো ধানের জন্য পুরো সময়ই ছিল অনুকূল আবহাওয়া ও উপজেলা কৃষি দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের তত্ত্বাবধায়ন। বোরোর বাম্পার ফলনে কারনে এ ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। চলতি রবি মৌসুমে নিবিড় বার্ষিক ফলন উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় ২০২১-২০২১ অর্থবছরে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ছিল ৪ হাজার ৫ শ’ ৫০ হেক্টর । এ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বেশি আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৩ হাজার ৬শ’ ২০ হেক্টর, উফশী ১৮ শ’ ৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫০ হেক্টর জমি। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.জাকির হোসেন জানান, ৬৬ শতকে হাইব্রিড জাতের বোরো ৫৫ মন ও উফশী জাতে ৬৬ শতকে ৪০ মান ধান উৎপাদিত হবে। আমনের বাম্পার ফলনের পর ১৫ হাজার চাষি এ বছরে বোরোর আবাদের সাথে জড়িত। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ জানান, চলতি বছরে বোরো ধানের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে সঠিব সময়ে যথাযথ পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ২শ’ চাষীকে প্রনোদনা হিসেবে সার ও বীজ এবং ১ হাজার চাষীকে বিনামূল্যে বীজ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।