দিন নেই, রাত নেই, ঝড় নেই –বৃষ্টি নেই-অবিরাম গতিতে জেলার উন্ন্য়ন কাজে নিরলস পরিশ্রম করে নিস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান। ঘুম নেই-খাওয়া নেই ছুটে চলছেন প্রত্যান্ত গ্রাম থেকে নদীভাঙ্গা চর এলাকাগুলো। রাজনৈতিক জীবনের সফলতা যেন এ জেলার উন্নয়নে নিজেকে উতসর্গ করে দিয়েছেন তিনি। এ জেলার উন্নয়ন এবং জেলাবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন করাই যেন সপ্ন। এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। ছাত্রজীবন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সম্মান করে ছাত্র রাজনীতীর সাথে জডিত হন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন। এ জেলায় যখন দলীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয় ঠিক সে সময় তিনি তার দক্ষতা অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষনতা মাধ্যমে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য শক্তহাতে হাল ধরেছিলেন বলেই লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগ এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকান্ড এখন তার নেতৃত্বে বলিষ্ঠ ভুমিকায় সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তুনমুল পর্যায় থেকে দলকে সুসংগঠিত করেছেন তিনি। দলকে সুসংগঠিত করতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে হামলা মামলাসহ নানা ভাবে নহয়রানীর শিকার হয়েছিলেন কিন্তু দলীয় কার্যক্রমের হাল ছেড়ে দেননি কখনও। দিনরাত নিরলস ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে ছুটে বেড়াচ্ছেন গ্রামের পর গ্রাম থেকে বন্যা ও নদীভাঙ্গা এলাকাগুলো। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ও নদীভাঙ্গনে নি;স্ব পরিবারগুলোর ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা নিজমুখে শুনে ও নিজচোখে দেখে বরাদ্দ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে চলেছেন অবিরাম। গরীব অসহায় ও নদীভাঙ্গা এলাকাগুলো ঘুরে ঘুরে তাদের দু;খ দুর্দশা ও সমস্যা চিহ্নিত করে সরকারী ও বেসরকারীভাবে বরাদ্দ এনে সসহযোগিতার কার্যক্রম তার যেন রুটিন ওয়ার্ক।এলকার মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে তার পাশে দাড়িয়ে তাকে সমস্যামুক্ত করা যেন জনগনের প্রতি অগাধ ভালবাসা। কোন এলাকায় অভাব রয়েছে, কোন এলাকায় বিদ্যুত নেই, কে বিবাহযোগ্য কন্যার বিবাহ দিতে পারছেনা।অর্থের অভাবে কার চিকিতসা হচ্ছেনা।কোন এলাকায় বিধাবা ও বৃদ্ধ বয়সী মানুষেরা দুর্বীনহ জীবন যাপন করছে। সব কিছুতেই তার সহযোগিতার হাত যেন অবিরাম। এ জেলার উন্নয়ন এবং জেলাবাসীর নিশ্চিত নিরাপত্তা জীবন যাপন যেন তার একমাত্র কামনা। মতিয়ার রহমানের নিরলস পরিশ্রম অক্লান্ত প্রচেষ্টায় জেলা আওয়ামীলীগ যেন সর্বদা সগরম। তার জনপ্রিয়তা এখন সবার শীর্ষে। জনদরদী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এ সৈনিক ১৯৫৮ সালে ১৭ ফেরুয়ারী লালমনিরহাট সদর উপজেলার ঘরিয়াল ডাঙ্গা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মৃত করমউল্লা সরকার মাতার নাম ছালেহা বেগম।। অত্যন্ত মেধাবী ও সাহসী হওয়ার তিনি ছিলেন মা বাবা সহ সকলের খুব প্রিয়। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন পরোপকারী। জনদরদী এ মানুষটি ১৯৭৪ সালে সদর থানার তিস্তা কে আর খাদেম উচ্চ বিদ্যালয় হতে মেধা তালিকায় এস এস সি, ১৯৭৭ সালে লালমনিরহাট সরকারী কলেজ হতে মেধা তালিকায় এইচ এস সি এবং ১৯৭৯ সালে লালমনিরহাট সরকারী কলেজ হতে বি এ এবং ১৯৮৪ সালে রংপুর আইন কলেজ হতে এল এল বি পাশ করেন। রাজনীতীর মাঝে শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি আইন পেশা শুরু করলেও নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন জনসেবায়। কিশোর বয়স হতেই তিনি ছিলেন আওয়ামী রাজনীতির একজন সাহসী যোদ্ধা ও অকুতভয় সৈনিক। ৭ম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি নৌকা মার্কার পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিটিং মিছিলসহ যাবতীয় দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে সাহসী যোদ্ধা হিসেবে সকলের আস্থাভাজন ও বিশ্বাসী হয়ে উঠেন। ১৯৭৩ ও ৭৪ সালে তিনি তিস্তা কে আর খাদেম উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের পর রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও ছাত্রলীগের গোপন সকল সাংগঠনিক কর্মকান্ডে তার ততপরতা ছিল প্রসংসনীয়। রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে আন্দোলন সংগ্রামে তার অংশগ্রহন সবার নজর কেড়ে নেয়। তিনি ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট কলেজ শাখার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সাল হতে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করায় ১৯৭৯ সালে কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এবং ১৯৮১ সালে পুনরায় সাধারন সম্পাদক হয়ে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন এবং ১৯৮৪ সাল হতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কলেজ শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ১৯৭৯ সালে রাষ্টপতি নির্বাচন কালে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলার শিকার , স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের হামলা ও নির্যাতনের শিকার, ২০০২ সালের ২৮এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বি এনপির আগ্নেয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার শিকার,পুলিশ কর্তৃক গ্রেপতার হয়ে ডিটেনশন কারাভোগ করে হাইকোটের নির্দেশে মুক্তির পর পুনরায় দ্রুত বিচার আইনে মামলার শিকার হন। উল্লেখ্য যে,দ্রুত বিচার আইনের মামলাটি চ্যালেজ করে আইনের কার্যকারিতার উপর নিশেধাজ্ঞা লাভ করায় মামলাটি প্রত্যাহার হয়। তিনি সভাপতি জেলা আইনজীবী সমিতি,সদস্য ট্রাস্টিবোর্ড ডায়াবেটিক সমিতি, সভাপতি তিস্তা আলিয়া মাদরাসা, সভাপতি বেগম কামরুন্নাহার মহাবিদ্যালয়, সভাপতি শেখ ফজলল করিম বালিকা বিদ্যালয়, সভাপতি খুনিয়াগাছ এস সি বিদ্যালয়, সভাপতি মানবধিকার সংস্থা, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, সভাপতি উকিলপাড়া জামে মসজিদ, প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদ, সভাপতি বেলের ভিটা স্বার্বজনীন দুর্গামন্দির ও বারহাত কালীমন্দির, প্রধানপৃৃষ্টপোষক সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, পৃষ্টপোষক বঙ্গবন্ধু শিশুকিশোর মেলাও আবৃতি পরিষদ, প্রধান উপদেষ্টা জাকির স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগার। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামজিক কর্মকান্ড ও সংগঠনের সাথে জড়িত। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের স্বার্থকতার চাবিকাঠি হিসেবে এ জেলার উন্ন্য়ন এবং মানুষের দু:খ দুর্দশা লাঘবে নিজেকে উজার করে শরু করেন উন্নয়ন কাজ। তার প্রচেষ্টায় নির্মান করা হয় শেখ রাসেল পার্ক, ভাষা আন্দোলন থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শীর্ষক মুর্যাল সম্বলিত মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ, জেলার প্রবেশদ্বার, দুইটি অত্যাধুনিক শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত অডিটরিয়াম কাম মাল্টি পারপাস হল, তিনটি ডাকবাংলা, শহীদমিনার, জেলার আশি শতাংশ মসজিদ মন্দির এবং একশ শতাংশ গীর্জায় অর্থ অনুদান প্রদান, কবরস্থান ও ইদগা মাঠ সংস্কার, অধুনালুপ্ত ছিটমহল সমুহে মহিলাদেও কর্মসংস্থানের লক্ষে সেলাই ও হস্তশিল্প প্রকল্প চালুকরন এবং একটি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আউট সোর্সিং প্রকল্প চালু, অধুনালুপ্ত ছিটমহল সমুহে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প চালু, পঙ্গু ও বয়স্কদেও হুইল চেয়ার প্রদান, গরীব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদেও বিদ্যালয় ও কলেজ যাতায়াতের জন্য বাইসাইকেল প্রদান, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিড-ডে মিল এর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান, বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে শিশু- কিশোর যুবকদেও মাঝে শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন, দরিদ্র পরিবারের কন্যাদেও বিবাহ ও চিকিতসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান,বিভিন্ন সামাজিক ওসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা প্রদান, মহান মুক্তিযুদ্ধেও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদেও সম্মাননা প্রদান, কোভিট-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় লকডাউন এ দরিদ্য মানুষের মাঝে এককোটি নয় লক্ষ টাকার দ্রবাদি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহকরন,নিজস্ব তহবীল হতে কোভিট- ১৯ মোকাবেলায় লকডাউনে দরিদ্র জন সাধারনের মাঝে ৫০ লক্ষ টাকার খাদ্যদ্রব্য ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহকরন, শীতের সময় শীতার্থদেও মাজে কম্বল বিতরন,এবং ব্যাক্তিগত উদ্দোগে অধুনালুপ্ত ছিটমহল ভিতরকুটিতে এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য দলীয় শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদেও কর্ম সংস্থানের জন্য সালেহা রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম বরুয়ায় একটি উচ্চ বিদ্যালয় নির্মান করেন। দিন বদলের এবং কাঙ্খিত উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে মতিয়ার রহমানের অবিরাম ছুটে চলা যেন অতীতের সকল রাজনৈতিক নেতার কর্মকান্ডকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বিগত সময়ে কোন রাজনৈতিক নেতা এ জেলার উন্নয়ন করতে পারেনি। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এত ব্যাপক উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকান্ডে দিন দিন বেড়েই চলেছে তার জন সমর্থন। এ জেলার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আগামী সংসদ নির্বাচনে তাকে সদস্য নির্বাচিত করতে চায় লালমনিরহাট সদও ৩ আসনের সর্বস্তরের জনগন। রাজনৈতিক জীবনের সপ্ন নিয়ে নানা বিষয়ে জানতে চাইলে মতিয়ার রহমান দৈনিক সমাচার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আলতাফুর রহমান আলতাফকে বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে আমি রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হানিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বেও মানচিত্রে। আমি এ জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ও জেলার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এ জেলার কোন মানুষ যেন সমস্যায় না থাকে, সকলের যেন ভাগ্যেও পরিবর্তন হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে আরও উন্নয়ন করা হবে। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে তার হাত শক্তিশালী করার জন্য সকলকে আওয়ামীলীগৈর পতাকাতলে থাকার আহবান জানান তিনি।