মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে একবছরেও শেষ হয়নি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণকাজ। ৬ হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল প্রায় একবছর পূর্বে। কিন্তু, একবছরে এ সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ এগিয়েছে মাত্র ২০ ভাগ। ইউনিসেফ এর সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা ডা. মির্জা ফজলে এলাহী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ হলো কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার অন্যতম অনুষঙ্গ। বর্তমানে স্থানীয়দের উদ্যোগে ক্রয়কৃত ৩টি হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দিয়ে চলছে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ- যাতে রোগীরা অক্সিজেনের উচ্চমূল্য পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চাহিদা অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধে ইউনিসেফ গতবছর হাসপাতালটিতে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু, প্ল্যান্টটির কাজ শুরু হয় মাত্র ২ মাস পূর্বে। ফলে, এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্ল্যান্ট নির্মাণের অর্থায়ন ও দেখভাল করছে ইউনিসেফ। নির্মাণকাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ইউনিসেফ এর সিলেট বিভাগীয় একাধিক কর্মকর্তা জানান, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ শুরু হয় প্রায় ২ মাস পূর্বে। কিন্তু, মাঝে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে লকডাউন চলমান থাকায় শ্রমিক সংকটের কারণে কাজ চলছে ধীরগতিতে। এজন্য নির্মানকাজ শেষ হয়ে প্ল্যান্টটি চালু হতে আরও মাস তিনেক সময় লাগতে পারে। ইউনিসেফ এর সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা ডা. মির্জা ফজলে এলাহী দেশ রূপান্তরকে জানান, ইতিমধ্যে প্ল্যান্টটির ২০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্ল্যান্টটির নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছেন। হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, হাসপাতালে ভর্তি কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু, লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট না থাকায় নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। এতে ঝুঁকিতে পড়ছেন রোগীরা। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে তারা সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পার্থ সারথি দত্ত কানোনগো জানান, গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কাজ চলছে, আগামী ২ মাসে কাজ হয়ে যাবে। বর্তমানে রোগীদের কোনো সমস্যা হচ্ছেনা। ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে চিকিৎসা চলছে। প্রয়োজনে আরও ব্যবস্থা করা হবে।