শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

বৃষ্টির দেখা নেই, পুড়ছে পাটক্ষেত

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১

তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে কাশিয়ানীতে পুড়ছে পাটক্ষেত। বৈশাখের তপ্ত রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ। পাটের আবাদ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে কৃষকের। পাটের জমিতে ঘন ঘন সেচ দেয়ায় যেমন বাড়ছে উৎপাদন খরচ, তেমনি প্রচ- খরায় জমির আগাছা পরিস্কার করতে পারছেন না কৃষকরা। এ অবস্থায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। জেলা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, চলতি মাসে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৈশাখ মাস জুড়েই তাপদাহ অব্যাহত থাকবে। তবে বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অনাবৃষ্টির কারণে পাটক্ষেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পাটগাছ শুকিয়ে বিবর্ণ ও পাতা কুঁচকে গেছে। এ অবস্থায় অনেক কৃষক নষ্ট হওয়া পাটক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছেন না। কাশিয়ানী উপজেলার চাপ্তা গ্রামের গ্রামের কৃষক ওয়াহিদ মিনা বলেন, ‘গত বছর পাটের ভাল দাম পেয়ে এবার ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। অনাবৃষ্টির কারণে এবার ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে। তারপরও পাট গাছ বাড়ছে না। বৃষ্টি না হওয়ায় জমির আগাছা নিড়ানি দেয়া যাচ্ছে না।’ সাফলীডাঙ্গা গ্রামের পাটচাষি রতন বিশ^াস বলেন, ‘অনাবৃষ্টির কারণে পাটগাছ মরে যাচ্ছে। সপ্তাহে দুইবার সেচ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। এভাবে খরা আরো কিছুদিন হলে পাটে এবার লোকসান গুনতে হবে। এক বিঘা জমিতে একবার সেচ দিতে ৫শ’ টাকা খরচ হচ্ছে।’ কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কাশিয়ানী উপজেলায় ৭ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সনজয় কুমার কুন্ড বলেন, ‘অনেকে তপ্ত রোদে পাটের জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এতে ভাল হওয়ার বদলে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। সন্ধ্যার পর জমিতে সেচ দিতে হবে। তাপদাহে পাট গাছে পোকার উপদ্রব বেড়ে যাবে। ফলে পাটের কচি পাতা কুকড়ে যাবে।’ এ অবস্থায় কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com