ভারতে কয়েক ডজন টুইট মুছে দেয়ার জন্য সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটারের প্রতি আবেদন জানিয়েছে ভারত সরকার। মুছে দেয়ার জন্য আবেদন করা টুইটের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় আইনপ্রণেতাদের কিছু টুইটও। দেশটির সরকার বলছে, এসব টুইট ভারতে চলমান কভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে নানা প্রতিবন্ধকতা ও ভুল ধারণার সৃষ্টি করছে। খবর রয়টার্স। সরকারের এমন আবেদনে সাড়া দিয়ে কিছু টুইট সরিয়ে নেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। শনিবার টুইটারের এক মুখপাত্র জানান, ভারত সরকারের আইনগত আবেদনের ওপর ভিত্তি করে কিছু টুইট সরিয়ে নিয়েছে টুইটার।
একই সঙ্গে ভারত সরকার সাম্প্রতিক টুইটের ওপর জরুরি ভিত্তিতে নজরদারি করেছে বলেও জানা যায়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজেক্ট ল্যুমেন ডাটাবেজে প্রকাশিত এক তথ্যে এমনটা জানা যায়। ল্যুমেন ডাটাবেজ থেকে জানা যায়, ২৩ এপ্রিল ভারত সরকারের কাছ থেকে টুইটারের কাছে আইনিভাবে আবেদন জানানো হয় এসব টুইট মুছে দেয়ার জন্য। মুছে দেয়া এসব টুইটের তালিকায় আইনপ্রণেতা রেভনাথ রেড্ডি, পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মলয় ঘটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক অভিনাশ দাসের টুইট অন্তর্ভুক্ত ছিল। সরকারের এমন আবেদন তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল। এক ই-মেইলে টুইটারের মুখপাত্র জানান, যখন আমরা একটি বৈধ আবেদন পেলাম, তখন আমরা স্থানীয় আইন ও টুইটারের নীতি অনুযায়ী তা নিরীক্ষা করে দেখেছি। তিনি আরো জানান, যদি টুইটগুলো টুইটারের নীতি লঙ্ঘন করে, তাহলে তা মুছে দেয়া হবে। যদি দেখা যায় যে টুইটগুলো কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনের ব্যত্যয় ঘটায়, তবে টুইটারের নীতির লঙ্ঘন ঘটায় না তা শুধু ভারত থেকেই তুলে নেয়া হবে। এক্ষেত্রে এসব টুইট অন্যান্য অঞ্চল থেকে দেখা যাবে।
টুইটার মুখপাত্র আরো নিশ্চিত করেন যে এসব টুইট তুলে নেয়া বা মুছে ফেলার ক্ষেত্রে টুইটার কর্তৃপক্ষ সরাসরি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে জানিয়েছে। একই সঙ্গে এটিও জানিয়েছে যে তাদের টুইটের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে আপত্তি আসার কারণে এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।