বাংলাদেশের কৃতি সন্তান রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার ভৌমিকের ”অস্তিত্বের পূর্ন গঠন” নামক এক শিল্প কর্মের প্রদর্শণী চীনের নাঞ্জিং ইউনিভার্সিটি অব দি আর্টস বিশ^ বিদ্যালয়ে চলছে। গত ২৬ এপ্রিল এর উদ্বোধন করেন উক্ত ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট লিউ ওয়েই দং উপস্থিত ছিলেন ডিজাউনার অনুষদের ডীন চউ ছিং আর্ন্তজাতিক শিক্ষা অনুষদের ডীন অয়াং শিং অধ্যাপক ”হ” ফাং এবং বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক মন্ডলী সহ কানাডা, রাশিয়া, চীন, মালায়শিয়া, নাইজেরিয়া, ঘানা, ভারত, বুল গেরিয়া, তুরকিস্থান,জাম্বিয়া, দক্ষিন কোরিয়া এবং অন্যান্য দেশ সহ বাংলাদেশের শিক্ষার্থী বৃন্দ। সুব্রত কুমার ভৌমিক রাজশাহী বিশ^ বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্স ডিজাইনের ছাত্র। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছী বাজার এলাকার বাসিন্দা রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্নসাধারন সম্পাদক সাংবাদিক প্রদীপ কুমার ভৌমিক ও গীতা রানী ভৌমিক এর পুত্র। তিনি ২০১৮ সালে চীন সরকার প্রদত্ত শিক্ষা বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য চীনে গমন করেন। উক্ত শিক্ষা বর্ষ থেকেই চীনের নাঞ্জিং ইউনিভাসিটি অব দি আর্টস এ অধ্যায়ন করছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্তমান সময়ের মহামারীর জন্য মানব সভ্যতার আগ্রাসন দায়ী নিজের ক্ষনস্থায়ী সুখে আমরা প্রকৃতি প্রাণী কুলকে প্রভাবিত করছে। যার ফলে আমাদের করোনোর মতো মহামারী সনু¥খীন হতে হয়েছে। তিনি তার শিল্প কর্মকে তিনটি পর্বে ভাগ করেছেন বলে জানান, প্রথম প্রর্ব রয়েছে মানব সভ্যতা বিভিন্ন প্রভাবিত করার দৃশ্য। দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে করোনার ফলে মানুষের মানসিক দূর অবস্থা এবং তৃতীয় পর্বে রয়েছে ভবিষ্যতে এই মহামারী গুলো থেকে মুক্তির জন্য প্রকৃতিকে রক্ষা করা ও একে অপরের সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন ভাবে জীবন সূচনা করা বা অস্তিতে¦র পূন: গঠন করার চিত্র। তিনি আরো বলেন শিল্প কর্মগুলো তৈরিতে তিন ধরনের শৈলী অনুসরন করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে ৩০টি শিল্প কর্ম (ইলাষ্টেশন) প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। শিল্প কর্ম গুলোর মাধ্যমে সবাইকে আগামী মহামারী সর্ম্পকে সচেতন করা হয়েছে। এবং এর থেকে মুক্তির জন্য প্রকৃতিতে রক্ষার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মানব জাতি প্রকৃতির সাথে এক বন্ধন তৈরি করবে। পশু পাখি গাছ পালা রক্ষায় মানব জাতি রক্ষায় নতুন এক পৃথিবী নির্মান করবে। সেখানে প্রকৃতি ও মানব জাতি উভয়ে হবে নিরাপদ। এই প্রদর্শণী আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। শিল্প কর্মগুলো দর্শকদের বিশেষ ভাবে প্রভাবিত করতে পারবে বলে উপস্থিত শিক্ষক বৃন্দ মন্তব্য করেন।