সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

সাংবাদিকের মোটরসাইকেলে হামলা

এম কে মনির সীতাকুন্ড :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২ মে, ২০২১

মীরসরাইয়ে কৃষি জমির টপসয়েল কেটে বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে মাটি খেকো একটি দল। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনরাত কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে নির্দিষ্ট ইটভাটা মালিকদের কাছে। ইতিমধ্যে এ উপজেলায় কৃষি জমিতে প্রায় ৫ শতাধিক পুকুর খনন করেছে ওই চক্র। এতে কৃষি জমির টপসয়েল নষ্ট হয়ে আশংকাজনকহারে কমছে কৃষি জমি। অবৈধভাবে টপসয়েল বিক্রেতাদের ঠেকাতে তৎপর মীরসরাই উপজেলা প্রশাসনও। ১ মে শনিবার রাত আনুমানিক নয়টায় মীরসরাইয়ের ৮নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড রায়পুর গ্রামে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেন মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অভিযানের সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্য নিজের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন বাংলা টিভি ও দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার মীরসরাই উপজেলা প্রতিনিধি দিদারুল আলম। অভিযান পরিচালনা কালীন সময়ে দিদার তার মোটরসাইকেল সুবিধাজনক স্থানে পার্কিং করে অভিযানস্থলে যান এবং ছবি তোলা, তথ্য নোটকরাসহ নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকেন। অভিযানে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান মাটি কাটার দুটি স্কেবেটর ও ৪ টি ব্যাটারি জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে যান এবং মাটি কাটায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আজ সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হওয়ায় নির্দেশ দেন। পরে অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান স্থান করলে সাংবাদিক দিদারুল আলম তার মোটরসাইকেলের কাছে ফিরে আসলে মোটরসাইকেলের অয়েল আউট, ব্রেকের তার ছিড়া, ব্যাটারি লাইন ডিসকানেকটেড দেখতে পান। এসময় ঘটনা আঁচ করতে পেরে সাংবাদিক দিদারুল আলম বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক দিদারুল আলম বলেন, গতকাল রাতে কৃষি জমির মাটি কাটার স্থানে ইউএনও’র অভিযান পরিচালিত হচ্ছে শুনে আমি মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে যাই। কিন্তুু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় অভিযান শেষে আমি মোটরসাইকেলের কাছে আসলে দেখি কেউ আমার মোটরসাইকেলের তেল ছেড়ে দিয়েছে এবং ব্রেক, ব্যাটারিসহ গাড়ির অন্যান্য কেবল ছিড়ে ফেলে দিয়েছে। ইউএনও’র অভিযানে ক্ষুব্ধ হয়ে মাটি খেকোরা এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ সাংবাদিক দিদারের। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান একুশে পত্রিকাকে বলেন, অভিযান পরিচালনা করে ২টি স্কেবেটর ও ৪ টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া না যাওয়ায় জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। অভিযানের পূর্বে আমরা সাধারণত সাংবাদিকদের খবর দিই। সেই আলোকে বাংলা টিভির দিদারকে কল দেওয়া হলে তিনি আমাদের সাথে অভিযানে অংশ নেন। কিন্তুু পরে তার কাছ থেকে শুনলাম কে বা কারা তার মোটরসাইকেলের তেলের লাইন ছেড়ে দেওয়াসহ কিছু আনুষঙ্গিক ক্ষতিসাধন করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো। মাটি যারা কাটছেন তাদের লোকজনই সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ কাজ করেছে বলে মন করছেন উপজেলা অফিসার মিনহাজুর রহমান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com