রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সামাজিক সম্প্রীতির অক্লান্ত ভাষ্যকার ছিলেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ আমাদের বাংলা সাহিত্যের যুগোত্তীর্ণ শ্রেষ্ঠ লেখক ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের একজন। অবিনাশী সৃষ্টির দ্বারা তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাবিজ্ঞানী, দার্শনিক, সংগীত রচয়িতা ও সুরকার হিসেবে এক উচ্চমাত্রায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন।’
গতকাল শুক্রবার (৭ মে) কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু কবিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সমাজ, রাজনীতি ও সামাজিক সম্প্রীতির অক্লান্ত ভাষ্যকার। তার অনন্য সৃষ্টিতে চিরাচরিত ধারার বাইরে স্বাতন্ত্র্যধর্মের পরিচয় মেলে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞান চেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। ধর্ম-লোকাচার, রাজনীতি ও সমাজচিন্তা এবং বিশ্বভাবনায় এই স্বাতন্ত্র্যবোধ তার বিশাল সাহিত্য সংস্কৃতির পরিম-লে বাংলা ভাষাভাষির মানসলোক নির্মাণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্বকবি, স্বপ্নদ্রষ্টা, রবীন্দ্রনাথ মানবজীবনকে বহমান ও নানা বৈচিত্র্যে উদ্ভাসিত করতে তার সৃষ্টিতে শিল্পমন্ডিত ঐশ্বর্যের মায়াবী স্বপ্নের জগৎ বিনির্মাণ করেন।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের রচনায় একই সঙ্গে সমাজ চেতনা ও মানবপ্রেমের শাশ্বত বাণী বিধৃত হয়েছে, আবার অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার আহ্বান তার সৃষ্টির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা মানুষকে চিরকাল মানবপ্রেম ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।’