দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শুক্রবার মধ্যরাতে। এরপরেও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিবঙ্গের ঘরমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। গতকাল শনিবার ভোর থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘাট এলাকায় জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ। এ অবস্থায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে একটি ফেরি মাদারীপুরের শিবচর অভিমুখে ছাড়তে দেখা গেছে। ঘাট এলাকায় কোনো যানবাহন ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। ফলে কয়েক কিলোমিটার হেঁটেই ঘাটে যাচ্ছেন যাত্রীরা। ফেরি বন্ধ থাকার খবর শুনে নিরুপায় হয়ে ঘাটে অপেক্ষা করছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার ফিরছেন রাজধানীর পথে। বিষয়টিকে ভোগান্তি বলে উল্লেখ করেছেন অনেক যাত্রী। কথা বলে জানা গেছে, হঠাৎ করে ফেরি বন্ধের এই সিদ্ধান্তের কথা তারা আগে থেকে জানতেন না। এরই মধ্যে সকাল ৯টার দিকে কয়েক হাজার যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ‘কুঞ্জলতা’ নামে একট ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে যেতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদের বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মিশা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে, রাতে পণ্যবাহী যান পারাপারের জন্য ফেরি চলবে। কিন্তু আজ সকালে শিমুলিয়ায় এত মানুষ ভিড় করেছে যে, বাধ্য হয়ে একটি ফেরি ছাড়তে হয়েছে। এ পরিস্থিতির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়কে এবং আমাদের প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে জানানো হয়েছে। আমরা পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। গত শুক্রবার সকাল থেকেই বাংলাবাজার ফেরিঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। এদিন নৌরুটে মোট ১৪টি ফেরি চলাচল করে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ফেরিগুলোতে খুব কম সংখ্যক গাড়ি উঠতে পেরেছে। প্রতিটি ফেরিতেই ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। এ পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে শনিবার থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, শিমুলিয়া-বাংলাবাজারসহ দেশের সব ফেরিঘাট থেকে দিনের বেলায় সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র রাতের বেলায় পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলবে। কিন্তু শুক্রবার মধ্যরাতে এমন নির্দেশার খবর অনেকেই না জানায় শনিবার ভোররাত থেকে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে এসে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। এতে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে নৌ রুট দিয়ে ঘরে ফিরছে মানুষ। ভোর থেকে এই নৌ রুটে মানুষ ও যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। সকাল সাড়ে ৬ টার পর থেকে ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরও বাড়ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট সহ উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে অধিক সংখ্যক যাত্রী আজও ঘাটে আসছেন।