ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে গত দুদিন ধরেই ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। এ জন্য গতকাল শনিবার (৮ মে) সকালে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। এ ছাড়াও নির্দেশ অমান্য করে চলছে দূরপাল্লার বাস ও সিএনজি। মহাসড়কের ঘারিন্দা, কান্দিলা, রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর ও এলেঙ্গা এলাকায় এ দৃশ্য দেখা যায়। এ ছাড়া ট্রাক ও মাছের গাড়িতে করোনার ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। অপরদিকে বাস, প্রাইভেট কারসহ ব্যক্তিগত গাড়িতে গাদাগাদি করে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। সরজমিনে দেখা গেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যার যার মতো গন্তব্য ছুটছে।
বগুড়াগামী ট্রাক চালক হানিফ মিয়া বলেন, সকাল থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। ফলে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে। ঘারিন্দা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার আসতে ১০ থেকে ১২ মিনিট লাগলেও এখন সময় একটু বেশি লেগেছে। এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, পাটুরিয়া দৌলদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া নির্দেশ অমান্য করায় দূরপাল্লার বাসকে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে তিনি জানান।