জেলায় এ বছর গত বছরের থেকে ১ হাজার ৭৫ হেক্টর বেশী জমিতে আমের বাগান গড়ে উঠেছে। কৃষি বিভাগের মতে ফলনও হয়েছে বাম্পার। গতকাল বৃহষ্পতিবার থেকে জেলায় আম ভাঙ্গা শুরু হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন ,গত মৌসুমে এ জেলায় মোট আমের বাগান ছিল ২৪ হাজার ৭শ ৭৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর বাগান সৃজিত হয়েছে ২৫ হাজার ৮শ ৫০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা ভিত্তিক আম বাগানের পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৪৪০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ৩৫ হেক্টর। আত্রাই উপজেলায় ১২০ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ৩৩৫ হেক্টর। মহাদেবপুর উপজেলায় ৬২৫ হেক্টর। পত্নীতলা উপজেলায় ৩ হাজার ১৫ হেক্টর। ধামইরহাট উপজেলায় ৬৭৫ হেক্টর ও সাপাহার উপজেলায় ৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর। পোরশা উপজেলায় ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর। মান্দা উপজেলায় ৪০০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জেলায় এ বছর গুটি আম, গোপালভোগ, রানী পছন্দ, খিরসাপাত, হিমসাগর, নাগফজলী, ল্যাংড়া, ফজলী, আ¤্রপালী, আশ্বিনা, বারী-৪ এবং ঝিনুক জাতের আম উৎপাদিত হয়েছে।
গত বছরের হিসেব অনুযায়ী চলতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি গড়ে ১২ মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে জেলায় এ বছর মোট আম উৎপাদনের পরিরমাণ প্রত্যাশা করা হচ্ছে ৩ লক্ষ ১০ হাজার ২শ মেট্রিক টন। গড়ে প্রতি কেজি আম ৫০ টাকা হিসেবে উৎপাদিত আমের মোট বিক্রিত অর্থের পরিমান হচ্ছে ১ হাজার ৫শ ৫১ কোটি টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ ব্যপারে বলেছেন যদিও এই লক্ষমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে, তবে বর্তমান বছরের বাস্তবতায় এর চেয়ে অধিক পরিমাণ আম উৎপাদনের প্রত্যাশা রয়েছে। কারণ এ বছর তেমন ঝড় হয়নি। এর ফলে আমের তেমন ক্ষতি সাধিত হয় নি। কাজেই ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশী আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
্এদিকে জেলায় আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আম ভাঙ্গা শুরু হচ্ছে। এ দিন থেকে গুটি আম ভাঙ্গা শুরু হচ্ছে। এ ছাড়াও ২৭ মে’২০২১ থেকে গোপালভোগ ও রানিপছন্দ আম, ২রা জুন থেকে খিরসা পাত ও হিমসাগর আম, ৪ঠা জুন থেকে নাগফজলী আম, ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া আম, ২০ জুন থেকে ফজলী আম, ২২ জুন থেকে আ¤্রপালী আম এবং ৮ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বারী-৪ ও ঝিনুক জাতের আম ভাঙ্গা শুরু হবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।