মানিকগঞ্জ জেলায় ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম ২০২১ উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে জলাতংক রোগ নির্মুলের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ফাইলেরিয়া নির্মুল) উপপরিচালক ডা. জহিরুল কবির, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইকবাল হোসেন, জেলা টিকাদান কর্মসূচীর তত্ত্বাবধায়ক মো: আকতারুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রন শাখার তত্ত্বাবধায়ক কে,এম তাহমিদ উল ইসলাম, মো: আসাদুজ্জামান সুমন, সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ। অবহিতকরণ সভায় বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ অংশ নেন। সভায় জানানো হয়, ২০১০ সালে পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রথম কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০১২ সালে দেশের সব জেলায় ব্যাপকহারে কুকুরের টিকা দেয়া শুরু হয়। ২০১৮ সালে মানিকগঞ্জে প্রথম ডোজ হিসেবে প্রায় ৯ হাজার কুকুরের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কুকুরকে টিকা দেয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে আগামী ২৩ মে থেকে মানিকগঞ্জের পৌর এলাকাসহ ১০টি ইউনিয়নে একযোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। ৫দিনব্যাপী ৩০টি টিম এই কার্যক্রম চালাবে। ১০টি ইউনিয়নে ২০টি টিম ও পৌর এলাকায় ১০টি টিম কাজ করবে। প্রতি টিমে দুইজন ডগ ক্যাচার, একজন টিকাদানকারী, একজন সহযোগী টিকাদানকারী ও একজন সার্ভেয়ার নিযুক্ত থাকবেন।দ্বিতীয় ডোজে মানিকগঞ্জ জেলায় সাড়ে ১১ হাজার কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম চালানো হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছে।