ফিলিস্তিনের পক্ষে কূটনীতিক তৎপরতা চালাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সাথে সাথে ফিলিস্তিনের সহায়তায় অর্থ ও সামরিক সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংগ্রামী ফিলিস্তিনিদের প্রতি জাতীয় সংহতি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে চিঠি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি মিষ্টি কথা ছাড়া আর কিছুই না। প্রকৃত অর্থে যদি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে চান, তাহলে আপনাকে তাদের অর্থায়ন করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের সামরিক অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ আপনি যদি ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত হতে চান তবে সবচেয়ে কঠিন যে কাজটি করতে হবে তা হলো কূটনৈতিক তৎপরতা। কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হলে আমাদের ছোটখাটো সব ভুল-ভ্রান্তি ভুলে যেতে হবে। পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর যে অন্যায় করেছিলো তার জন্য তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে তাদেরসহ তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া সবাইকে নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে। আর আমাদের এখান থেকে ১০ হাজার সামরিক জনবল ফিলিস্তিনে পাঠাতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের একইভাবে কাশ্মীরিদের পক্ষে আন্দোলন করতে হবে। সমর্থন দিতে হবে ভারতের মাওবাদীদের। তা না হলে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হবে। বঙ্গবন্ধুর সংবিধানে বলা আছে পৃথিবীর যেখানেই আত্মরক্ষার সংগ্রাম চলবে সেখানেই আমরা তাদের পাশে থেকে সাহায্য করবো।’ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চেয়েছিল বলে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের জেনারেল ওসমানী ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ তাদেরকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, যে রাষ্ট্র মানবিক ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে অত্যাচার চালায়, তাদের সাহায্য আমাদের সাহায্য আমাদের প্রয়োজন নেই।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম (বীরপ্রতীক)।