সিরাজগঞ্জের বেলকুচি দৃষ্টিনন্দন উপজেলা চত্বর দেখতে ভিড় জমাচ্ছে বিনোদন প্রিয় মানুষ। এখন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে ভ্রমণ প্রিয়াসীদের নিকট। দূরদূরান্ত থেকে ভ্রমণ প্রিয় মানুষ ছুটে আসছে বেলকুচি উপজেলা চত্বরে। বেলকুচিতে কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায়,একটু বিনোদনের খোঁজে মানুষ ছুটে আসছে উপজেলা চত্বরে। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের দৃশ্য ও কোলাহল মুক্ত হওয়ায় একটু অবসর পেলে মানুষ ছুটে আসছে দৃষ্টিনন্দন বেলকুচি উপজেলা চত্বরে। বেলকুচি উপজেলায় তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় ভ্রমণ পিপাসুরা প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছে নিরিবিলি পরিবেশের এই স্থানে। প্রকৃতি দেখতে ও বিনোদনের জন্য স্বপরিবার নিয়ে এখানে বেড়াতে আসছে দুরদুরান্তের জনসাধারণ। ভ্রমণ প্রিয় মাসুদ রানা জানায়,বেলকুচি উপজেলা চত্বর সাত মাস পূর্বে এমন দৃষ্টিনন্দিত আকর্ষণীয় ছিলনা। বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমানের স্বউদ্যোগে তিনি সুন্দর পরিবেশ তৈরী করে দিয়েছেন,পরিবারের সকলকে নিয়ে আমি মাঝে মধ্যে বিনোদনের জন্য বেড়াতে আসি এখানে। বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান একজন রুচিশীল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তার জন্যই বেলকুচি উপজেলা চত্বর এমন দৃষ্টিনন্দন হয়েছে সত্যিই এটি খুব প্রশংসনীয়। আগত দর্শনার্থীরা জানায়,উপজেলায় বিনোদনের পাশে একটি কপি হাউজের ব্যবস্থা থাকলে আরও ভালো হতো,আমরা দূরদুরান্ত থেকে এখানে আসি প্রাকৃতিক পরিবেশে উপভোগ করার জন্য। আমাদের উপজেলায় তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই। যদি বিনোদন কেন্দ্র থাকতো তাহলে আমাদের অবসর সময়গুলো সেখানে ভালভাবে কাটাতে পারতাম। বেলকুচি উপজেলায় একটি বিনোদন কেন্দ্র খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন দর্শনার্থীরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান,বেলকুচি উপজেলা একটি তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ অঞ্চল। এ অঞ্চলের মানুষ ব্যস্ত সময় পার করে তাঁত শিল্পের মাঝে,পরিবারের সকলে নিয়ে তাঁরা বিনোদনের জন্য কোথায়ও যাইতে পারেনা। বেলকুচিতে নেই কোন বিনোদন কেন্দ্র, একটু নিরিবিলি জায়গা পেলে সেখানে ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় জমে, ভ্রমণ পিপাসুদের কথা চিন্তা করে বেলকুচি উপজেলা চত্বরে বিনোদন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করি। এখানে আছে শাপলা চত্বর, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, পানির ফুয়ারা, শহীদ মিনার, প্রতিটি ফুলগাছের টপের সাথে সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্য তাঁত শিল্পের ভাস্কর্য চোংগা, বৈশাখী মঞ্চের সঙ্গে শিল্পের আবরণে ফুটে তোলা হয়েছে বৈশাখীর ঐতিহ্য,চারিদিকে ফুলের বাগান। রাতের সৌন্দর্যের জন্য বিভিন্ন রকমের আলোকসজ্জা করা হয়েছে। আরও কিছু কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে উপজেলা চত্বরে একটি কফি হাউজ উদ্বোধন করা হবে।